Kavach: সাই সাই করে ছুটবে বন্দে ভারত, যুক্ত হল নতুন প্রযুক্তি

Prosun Kanti Das

Updated on:

New technology Kavach has been added to Vande Bharat Express: বর্তমান সময়ে ভারতের রেল ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন এসেছে। পুরোনো প্রযুক্তির জায়গায় এসেছে নতুন সব প্রযুক্তি। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস এর মত ট্রেন রেল ব্যবস্থায় সংযুক্তির ফলে বেড়েছে ট্রেনের গড় গতি। তবে তারপরেও সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি ভয়ানক ট্রেন দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছে রেল। যার কারণে তৈরি করা হয়েছে “কবচ্” (Kavach) এর মত প্রযুক্তি। এবার সেই কবচ যোগ করা হচ্ছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে। নতুন এই প্রযুক্তির সাহায্যে বন্দে ভারতের গতি আরও বাড়ালেও কোনো চিন্তা নেই। সুরক্ষার দায়িত্ব নিচ্ছে “কবচ্”।

“কবচ্” হল মৃলত আর এফআইডি ও জিপিএস ট্র্যাকার যুক্ত একটি প্রযুক্তি। এর সাহায্যে দূর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব। ইতিমধ্যেই আপ ও ডাউন লাইনে পরিক্ষা করে দেখা হয়েছে। সফল ভাবে কাজ করছে কবচ্ (Kavach)। তাই একে কার্যকরি বলেই মনে করছেন কর্তৃপক্ষ।

কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ৮ কামরার একটি ট্রেনকে ১৬০ কিলো মিটার প্রতি ঘন্টা বেগে আপ ও ডাইন উভয় লাইনে চালিয়ে পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। ফলাফল হিসাবে দেখা গেছে চালক নিজে থেকে ব্রেক না কষলেও লাল সিগন্যালের প্রায় ১০ মিটার আগেই ট্রেন নিজে থেকে থেমে যাচ্ছে কবচ্ (Kavach) প্রযুক্তির মাধ্যমে। তাই এখন বন্দে ভারতের গতি বাড়ালেও চিন্তার কোনো কারণ নেই বলে মনে করছেন রেল কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন 👉 Online Apply Process of Citizenship: CAA চালু হতেই নতুন রূপ নিল ওয়েবসাইট, চালু হল অনলাইনে আবেদন পদ্ধতি

রেলের তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে যে, ৮ কামরার বন্দে ভারতের উপর পরিক্ষা করে সফলতা পাবার পর, এখন এই বিষয়ে আরো বেশ কিছু তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যেমন, ট্রেনটির থামার জন্য কমপক্ষে কতটা দৃরত্বের প্রয়োজন, কত পরিমাণ শক্তি ক্ষয় হচ্ছে ইত্যাদি। এই সব বিষয় গুলি সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পাবার পর ৮ কামরার অন্যান্য ট্রেন গুলিতেও এই প্রযুক্তি (Kavach) কে ব্যবহার করার  ব্যাবস্থা করা হবে।

বন্দে ভারতের সর্বচ্চো গতি ১৫০ কিমি প্রতি ঘন্টা। দিল্লি থেকে জয়পুর লাইনে এই গতি কার্যকর করা সম্ভব। তবে শুধু “কবচ্” (Kavach) যুক্ত করলেই হয় না। প্রয়োজন পরে আরও অনেক টাওয়ার, অ্যান্টেনা ও বিশেষ কিছু যন্ত্র। এতে খরচ পড়ছে প্রতি কিমিতে ৯০ লক্ষ টাকা। আপাতত ৩০০০ কিলো মিটার রেল পথে এই প্রযুক্তি বসানো হবে বলে রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।