নিজস্ব প্রতিবেদন : বলিউড তারকা শাহরুখ খানের (Shahrukh khan) বাংলো মন্নত (Mannat) নিয়ে আমজনতার উৎসাহের শেষ নেই। তার এই বাংলোতে থিয়েটার থেকে সুইমিংপুল কী-না নেই। যদিও বলিউডের অধিকাংশ তারকাদের বাংলোই এইভাবে সাজানো গোছানো। তবে বলিউড তারকাদের কথা বাদ দিলে পশ্চিমবঙ্গের এক বিধায়কেরও এমন সাজানো গোছানো বাংলো রয়েছে। আর তিনি হলেন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী (Krishna Kalyani)। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর বাড়িকে শাহরুখের মন্নতের সঙ্গে তুলনা করেন।
বুধবার আয়কর দফতরের আধিকারিকরা রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর বাড়ি অফিস সহ বিভিন্ন জায়গায় হানা দেন। আয়কর দপ্তরের কর্মীদের হানার মাঝেই একবার বিধায়ককে নিজের বাংলোর ব্যালকনিতে আসতে দেখা যায় এবং কর্মী সমর্থকদের হাত নাড়িয়ে যান। বিধায়কের বাড়িতে আয়কর দপ্তরের আধিকারিকদের হানা দেওয়ার পর থেকেই তার এই প্রাসাদপম বাড়িটি চর্চায় রয়েছে।
কৃষ্ণ কল্যাণী একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিধায়ক হন। তবে পরে তিনি তৃণমূলে যোগদান করেন। রাজনীতির পাশাপাশি কৃষ্ণ কল্যাণী রাজ্যের বড় বড় ব্যবসায়ীদের মধ্যে অন্যতম একজন। কৃষ্ণ কল্যাণীর পুরাতন বাড়ি রয়েছে রায়গঞ্জে। যদিও বছর পাঁচেক আগে অশোক পল্লীর এনএস রোডের ধারে একটি বাড়ি তৈরি করান। এটি বাড়ি না বলে বাংলো বলা যেতে পারে আর এখানেই পরিবার নিয়ে থাকেন কৃষ্ণ কল্যাণী।
বাড়ির ডিজাইন যেভাবে তৈরি করা হয়েছে আর যেভাবে আলোকসজ্জায় ভরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাতে তা আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়েছে পথ চলতি মানুষ থেকে শুরু করে এলাকার বাসিন্দাদের। তবে বাড়ির ভিতরে ঠিক কি কি রয়েছে তা দেখার সৌভাগ্য সবার হয়নি। বাড়ির অন্দরমহল দেখার সুযোগ মিলেছে কেবলমাত্র বন্ধু-বান্ধবী, অনুগামী এবং আত্মীয়-স্বজনদের।
কৃষ্ণ কল্যাণীর ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে জানা যাচ্ছে, বাড়ির মধ্যেই গ্রাউন্ড ফ্লোরে রয়েছে একটি সুইমিং পুল। এর পাশাপাশি বাড়ির মধ্যেই রয়েছে জিম। বাড়িতে বিধায়কের নামিদামি গাড়ি রাখার জন্য রয়েছে সুন্দর পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। বাড়ির দ্বিতীয় এবং তৃতীয় তলায় কাঁচ দিয়ে ঘেরা ব্যালকনি রয়েছে। সেখানে বসার চেয়ারের পাশাপাশি রয়েছে দোলনা সহ অন্যান্য সৌখিন জিনিসপত্র।
মডিউলার রান্নাঘর, মন্দির থেকে শুরু করে ডাইনিং স্পেস যেভাবে সাজানো হয়েছে তা হার মানাতে পারে বলিউডের নামিদামি তারকাদের বাংলোকেও। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো বিধায়কের বাংলোর মধ্যে একটি সিনেমা হল রয়েছে এবং সেখানে একসঙ্গে ১০০ জন বসে সিনেমা দেখার মতো বন্দোবস্ত রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত। বাড়িতে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামার প্রয়োজন নেই, পুরোটাই লিফটের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও বিধায়কের বাগানে রয়েছে দেশ-বিদেশের নামিদামি গাছগাছরা।