IPL নিয়ে নয়া বিজ্ঞপ্তি, কোটি টাকার টুর্নামেন্ট ঘিরে জল্পনা ক্রীড়া জগতে

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা ভাইরাসের প্রকোপের কারণে এবছর প্রথম থেকেই আইপিএল নিয়ে শুরু হয় ধোঁয়াশা। খেলার উদ্বোধনী ম্যাচের আগেই দেশে জাঁকিয়ে বসে করোনা। প্রথম দফায় বলা হয় আইপিএল হলেও তা হবে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে। পরে আবার সূচি বদল করে জানানো হয় যদিবা এবছর আইপিএল হয়ে থাকে তাহলে তা হবে ১৫ ই এপ্রিলের পর, সূচী অনুযায়ী যা শুরু হওয়ার কথা ছিল ২৯ শে মার্চ। কিন্তু এই পরেও ক্রীড়া জগতে আবারও শুরু হয়েছে নয়া জল্পনার IPL কমিটির নয়া বিজ্ঞপ্তি ঘিরে।

গত মঙ্গলবার চলতি বছরের আইপিএল নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একটি বৈঠক হয় আইপিএল চেয়ারম্যান ব্রিজেশ প্যাটেল, বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, বোর্ড সচিব জয় শাহ এবং বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধূমলের। সেই বৈঠকেই এক প্রকার ঠিক হয় যেহেতু দেশে লকডাউন বেড়ে গেছে তাই এ বছর আর আইপিএল আয়োজন করা সম্ভব হবে না। এরপর বুধবার বিসিসিআই’র তরফ থেকে জানানো হয়, দেশে লকডাউন বেড়ে যাওয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য এবছরের আইপিএল পিছিয়ে দেওয়া হল। পরে সরকারিভাবে আইপিএল কমিটির তরফ থেকে এটাই জানানো হয় বৃহস্পতিবার।

কিন্তু বেশ কয়েকটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলিকে বিসিসিআই ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ায় দেশে লকডাউন নতুন করে বর্ধিত করার ফলে এ বছর আর এই কোটি টাকার টুর্নামেন্ট আয়োজন সম্ভব নয়। যদিও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড সরকারিভাবে এখনই এই মেগা টুর্নামেন্টটিকে বাতিলের খাতায় ফেলে নি। তবে সর্বভারতীয় ঐসকল সংবাদমাধ্যমের খবর ক্রীড়াপ্রেমীদের মধ্যে আইপিএল নিয়ে নতুন করে জল্পনার সৃষ্টি করলো।

তবে খেলার ভবিষ্যৎ নিয়ে বিশেষজ্ঞরাও মতামত পোষণ করেছেন তাহলো, আগামী ৩ রা মে পর্যন্ত দেশে লকডাউন জারি থাকবে। লকডাউন জারি থাকাকালীন সরকারি নির্দেশিকা অনুসারে বন্ধ রেল চলাচল, বিমান চলাচল, অন্যান্য পাবলিক যান চলাচল। পাশাপাশি বন্ধ যে কোনো রকমের খেলাধুলা ও জমায়েত। আর এসবের পর পরবর্তী ক্ষেত্রে আইপিএলের আয়োজন বিশবাঁও জলে।