Train Engine: গাড়ি-বাইকের ইঞ্জিন স্টার্ট করতে দরকার হয় চাবির! কিন্তু ট্রেনের!

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

Is a Train Engine started with a key like other vehicles?: ভারতের অন্যতম পরিবহন মাধ্যম হলো রেল। যে পরিবহন মাধ্যমে যাতায়াত যেমন আরামদায়ক তেমন খরচ সাশ্রয়ী। বর্তমানে কর্মরত ব্যক্তিদের কর্মস্থানে যাতায়াতের অন্যতম ভরসা এই রেল পরিবহন। ভ্রমণ উদ্দেশ্য অনেকেই এই পরিবহনকে বেছে নিচ্ছেন। কিন্তু কখনো কি মনে প্রশ্ন জেগেছে স্টেশন থেকে যে ট্রেন চালু হয় তা কিভাবে চালু হয়? কোনো চাবির মাধ্যমে কি ট্রেনের ইঞ্জিন (Train Engine) চালু হয় নাকি রয়েছে অন্য কোনো উন্নত ব্যবস্থা? না জানলে অবশ্যই জেনে রাখুন।

Advertisements

আমরা কম-বেশি সকলেই জানি যে কোনো গাড়ি বা বাইক চালানোর জন্য ইঞ্জিন স্টার্ট (Train Engine) করতে হয়। আর তার জন্য ব্যবহার করতে হয় চাবি। চাবির মাধ্যমে ইঞ্জিন স্টার্ট করে গাড়ি চালানোর প্রক্রিয়া শুরু করতে হয়। কিন্তু ট্রেনেও কি একই নিয়ম? চাবির সাহায্যে কি ট্রেন চালু-বন্ধ করা হয়? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

Advertisements

প্রথমত, ভারতীয় রেলে দু ধরনের ইঞ্জিন দ্বারা ট্রেন পরিচালনা করা হয়। একটি ডিজেল চালিত ইঞ্জিন, অপরটি বৈদ্যুতিক ইঞ্জিন। এক্ষেত্রে ডিজেল চালিত ট্রেন চালানোর জন্য ব্যবহার করা হয় একটি হ্যান্ডেল। যাকে বিপরীত হ্যান্ডেল বলা হয়।.যে হ্যান্ডেলটি গাড়ি বা বাইকের চাবির মতো দেখতে না হলেও এই হ্যান্ডেলটিকে ট্রেনের চাবি বলে উল্লেখ করা হয়। পাশাপাশি এই ইঞ্জিন চালনায় ব্যবহার করায় রিভার্স হ্যান্ডেল। যা ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ এবং রিভার্স করতে সহায়তা করে।

Advertisements

আরও পড়ুন ? Sealdah 12 Coaches Local Train Update: শিয়ালদা ডিভিশনের ১২ কোচের লোকাল ট্রেন নিয়ে মেগা আপডেট! ৮,৯ জুন হতে পারে বড় কাজ

অপরদিকে বৈদ্যুতিক ইঞ্জিন দ্বারা চালিত ট্রেন চালু এবং বন্ধ করা হয় একটি বিশেষ কি বা লিভারের মাধ্যমে। যার রেলের ভাষায় ‘জেটপিটি’ বা ‘প্যান্টো কি’ নামে নামাঙ্কিত। এই ইঞ্জিন চালানোর ক্ষেত্রে প্রথমে বায়ুর চাপ দিয়ে প্যান্টোগ্রাফ পূরণ করতে হয়। তারপর সার্কিট ব্রেকার চালু করার জন্য যোগাযোগের তারটি উপর দিকে তুলে ইঞ্জিন চালু করতে হয়।

তবে বর্তমান সময়ে ভারতীয় রেলের সব ট্রেনের ইঞ্জিন এই প্রক্রিয়ায় চালু করা হয় না। ডব্লিউডিএম ২ ক্যাটাগরির কিছু ইঞ্জিনে এই প্রক্রিয়া কার্যকরী হয়। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে ট্রেনের ইঞ্জিন (Train Engine) চালু করার প্রক্রিয়ায় উন্নত প্রযুক্তি যোগ করা হয়েছে। যার ফলে কোনো চাবি, প্যান্টো কি বা লিভারের মাধ্যমে ট্রেন ইঞ্জিন চালু করা হয় না। বৈদ্যুতিক গাড়ির মতো ট্রেনেও সুইচের মাধ্যমে ট্রেন চালু এবং বন্ধ করা হয়।

Advertisements