Breaking : অপেক্ষার অবসান, ইতিহাস লিখতে চলেছে চন্দ্রযান-২

নিজস্ব প্রতিবেদন : চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করেছে চন্দ্রযান-২, ঘোষণা করলো ইসরো। শুনতে সহজ লাগলেও প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত জটিল। আর এই জটিল প্রক্রিয়ার সম্মুখীন হয় চন্দ্রযান-২ চাঁদের কক্ষপথের প্রবেশের আগে। কিন্তু কেন চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করতে এতটাই চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয় চন্দ্রযান-২ কে?

ইসরো সূত্রে জানা গিয়েছে, চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশের আগে সবকিছু নির্ভর করে চন্দ্রযান-২ এর গতির উপর। কক্ষপথে প্রবেশের আগে যদি চন্দ্রযান-২ এর গতিবেগ বেশি থাকে তাহলে তা চাঁদের কক্ষপথ থেকে ছিটকে যাবে। হারিয়ে যাবে মহাশূন্যে। আবার গতিবেগ যদি কম থাকে তাহলে তা চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির বলে আছড়ে পড়বে চাঁদের মাটিতে। ছোট্ট একটা ভুল সিদ্ধান্ত ভেস্তে দিতে পারে হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের এই অভিযান।

চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করার আগেই চন্দ্রযান-২ চাঁদের দিকে যতই এগিয়ে যায় ততই পৃথিবীর অভিকর্ষ বল কমতে থাকে, পাশাপাশি চাঁদের অভিকর্ষ বল বাড়তে থাকে। ফলে অত্যন্ত ধীরে চাঁদের কক্ষপথের সাথে নিজেকে মানিয়ে চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করতে হয়েছে চন্দ্রযান-২ কে। এই গোটা প্রক্রিয়া এতটাই কঠিন এবং জটিল যে চন্দ্রযান-২ র ভাগ্য সরু সুতো উপর ঝুলে সফলতার মাধ্যমে প্রবেশ করে চাঁদের কক্ষপথে। চন্দ্রযান-২ র গতিবেগ ঘণ্টায় ৩৯২৪০ কিমি, আর এই গতিবেগ থেকে চাঁদের কক্ষপথের নিজেকে মানিয়ে নেওয়ায় ছিল বড় চ্যালেঞ্জ।