ISRO of India helped in moon mission of Japan: জাপান পরিচিত সূর্যোদয়ের দেশ হিসেবে। এছাড়াও জাপানের টেকনোলজি মানুষকে অবাক করে দেয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জাপানও ইতিহাস গড়তে চলেছে। যা গোটা বিশ্বের কাছে এক অবাক করা কান্ড। জাপানের এই কর্মকাণ্ডে তাকে সম্পূর্ণ সাহায্য করেছে এক বন্ধু যার নাম হলো ভারতবর্ষ। অবশেষে চাঁদে পদার্পণ করল জাপান বিশ্ব ইতিহাসে সে স্থান অধিকার করেছে পঞ্চম। অর্থাৎ জাপান হল পঞ্চম দেশ যে এখনো অব্দি চন্দ্র অভিযান (Japan Moon Mission) করতে পেরেছে। গত শনিবার জাপান চাঁদের মাটিতে পা রাখতে সফলতা অর্জন করেছে। কিভাবে ঘটল এই আশ্চর্য ঘটনা জানুন বিস্তারিতভাবে।
চাঁদের মাটিতে ইতিহাস গড়ার এই সাফল্যে জাপানকে সাহায্য করেছে বন্ধু চন্দ্রযান ২। ইসরোর (ISRO) দ্বিতীয় চন্দ্রযানের তোলা ছবিই জাপানকে সাহায্য করেছে অবতরণের ক্ষেত্র নির্বাচন করতে। আমরা সবাই জানি ইসরোর চন্দ্রযান ২ সফলতা লাভ করতে পারেনি। কিন্তু জাপানকে সাহায্যের মধ্য দিয়েই কোথাও যেন ব্যর্থ হয়েও আজ সে সফল। আসলে পুরোপুরি সফলতা না পেলেও ভারতের চন্দ্রযান ২ আংশিক সফলতা অর্জন করেছিল এবং সেখান থেকে যে চিত্র তোলা হয়েছে সেটাই জাপানের চন্দ্র অভিযানে (Japan Moon Mission) সফলতা এনে দিয়েছে।
গত বছর চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রেখেছিল চন্দ্রযান ৩, ভারত কেন গোটা বিশ্বের ইতিহাসে এ যেন এক স্মরণীয় ঘটনা। চন্দ্রযান ২ মিশনে ব্যবহৃত ল্যান্ডারটি চাঁদের মাটিতে ঠিকমতো ল্যান্ড করতে না পারার জন্য মিশনের আসল লক্ষ্যপূরণ হয়নি। তবে যানটির অর্বিটারটি আজও রয়ে গেছে কর্মক্ষম। আর তা চন্দ্রপৃষ্ঠের উপর দিয়ে লাগাতার উড়ে চলেছে এবং নিরীক্ষণ করে চলেছে চাঁদকে। সেখান থেকে কি সাহায্য পেল জাপানের চন্দ্রযান অভিযান (Japan Moon Mission)?
আরও পড়ুন ? চাঁদে অবতরণের আগে দুর্দান্ত কারনামা দেখিয়েছিল বিক্রম! সামনে এলো ৬৫ দিন পর
পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ হলো চাঁদ সেখান থেকে বিভিন্ন ধরনের তথ্যের সন্ধান দিয়েছে চন্দ্রযান ২(Chandrayaan-2)। যেমন বরফের সন্ধান থেকে শুরু করে ধাতু ও অন্যান্য উপাদানের অনুসন্ধান সংক্রান্ত জরুরি তথ্য। সেই কারণে এই মিশনটি আপাত দৃষ্টিতে হয়তো ব্যর্থ কিন্তু তা সত্বেও আন্তর্জাতিক স্পেস মিশনগুলির জন্য ‘জরুরি’ হয়ে উঠছে। সেই কারণে জাপানের ক্ষেত্রেও এটি সফলতা এনে দিয়েছে।
ভারতীয়দের জন্য সবথেকে গর্বের বিষয় হলো জাপানের মহাকাশ যান ‘মুন স্নাইপার’ যতই সফলতা অর্জন করুক না কেন ইসরোর সাফল্যকে কিন্তু টেক্কা দিতে পারেনি। ভারতের ইসরোর তৈরি যান অনেক বেশি উন্নত। এর আসল কারণ হলো জাপানের চন্দ্র অভিযান মসৃণ হয়নি। চাঁদের মাটি ছুঁতে পারলেও বিভিন্ন রকম যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দিয়েছে ‘মুন স্নাইপারে’। তাই এর সফলতা নিয়ে এখনো সংশয় রয়ে গেছে, কেননা ‘মুন স্নাইপারে’ সৌরশক্তি পৌঁছচ্ছে না। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো চন্দ্রপৃষ্ঠে রুটিন কাজ করার জন্য সৌরশক্তিই অবশ্যই প্রয়োজনীয়। অবিলম্বে জাপানের এই বিষয়টি নজর দিতে হবে না হলেই ব্যর্থ হয়ে যাবে চন্দ্র অভিযান।