নিজস্ব প্রতিবেদন : রান্নার গ্যাস নিয়ে বড় সমস্যায় পড়েছেন এখন সাধারণ মানুষেরা। প্রতিমাসে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে রান্নার গ্যাসের দাম। আর এই রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে নাভিশ্বাস হয়ে উঠছে নিম্ন মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত পরিবারগুলির। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই এখন রান্নার গ্যাস ছেড়ে কাঠ-কয়লার উনুনে ফিরে আসছেন।
অন্যদিকে চড়া দামে গ্যাসের সিলিন্ডার কেনার পর এই সকল পরিবারের সদস্যরা ভর্তুকির দিকে তাকিয়ে থাকেন। কেননা সরকারের তরফ থেকে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের উপর যে ভর্তুকি দেওয়া হয় তাতে কিছুটা হলেও স্বস্তি মেলে। কিন্তু বর্তমানে এই ভর্তুকি নিয়ে যায় ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে তাতে বড় আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
১৪.২ কেজি ওজনের রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের এখন যা দাম তাতে অধিকাংশ জায়গায় গ্রাহকদের মাসে ১১০০ টাকার কাছাকাছি খরচ করতে হচ্ছে। সেই জায়গায় কোথাও ভর্তুকি মিলছে শূন্য, আবার কোথাও ভর্তুকি মিলছে ১৯.৫৭ টাকা। চাপের মুখে সম্প্রতি কেন্দ্র সরকার উজ্জ্বলা প্রকল্পের গ্যাস সিলিন্ডারে ২০০ টাকা ভর্তুকি দেওয়ার ঘোষণা করেছে।
তবে অন্যান্য রাজ্যে পরিমাণে ভর্তুকি পাচ্ছেন সেই বিষয়ে কেন্দ্রের তরফ থেকে ভর্তুকি না দেওয়ার বিষয়েই সাওয়াল করা হলো। বৃহস্পতিবার তেল মন্ত্রকের সচিব পঙ্কজ জৈন স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘রান্নার গ্যাসের ভর্তুকি শুধু উজ্জ্বলা যোজনার গ্রাহকদের প্রাপ্য। বাকিদের বাজার দরেই সিলিন্ডার কিনতে হবে’।
এই মন্তব্যের ফলেই দেশজুড়ে নতুন করে দানা বেঁধেছে সংশয়। সংশয় এই কারণেই তৈরি হয়েছে, কারণ তাহলে কি এখন যে সকল জায়গায় সামান্যটুকু ভর্তুকি মিলছে তাও বন্ধ হয়ে যাবে। এখানেই শেষ নয়, এর পাশাপাশি আরও আশঙ্কা বাড়িয়েছেন তেলমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী।
তেলমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী জানিয়েছেন, “বরাবরের জন্য ভর্তুকি চালু থাকবে এবং বাড়বে, ভর্তুকির সংজ্ঞা এমন নয়। সেই অনুযায়ী, তা আদতে ধাপে ধাপে কমে আসা উচিত।” এমনকি কেন্দ্রে তেল মন্ত্রকের সচিব সূত্রে এটাও জানা যাচ্ছে, ২০২০ সালের জুন মাস থেকে কাউকে ভর্তুকি দেওয়া হয় না। ভর্তুকি দেওয়া হয় কেবলমাত্র উজ্জ্বলা যোজনা ক্ষেত্রে।