It is only a matter of time before BSNL 4G is launched in this city: ভারতবাসীর জন্য রয়েছে দারুণ খবর। দেশবাসীর বহুদিনের আক্ষেপের ও অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে। Airtel, Jio-এর মতো এবার ৪জি পরিষেবা লঞ্চ করতে চলেছে বিএসএনএল। সূত্রের মারফত পাওয়া খবর অনুযায়ী, রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম যোগাযোগ সংস্থা বিএসএনএল মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর শহরে চালু করতে চলেছে বিএসএনএল 4G পরিষেবা (BSNL 4G Service)। যার জন্য ইতিমধ্যেই মোতায়েন করা হয়েছে ৫৫টি BTS।
খবর রয়েছে দারুন কভারেজ প্রদান করবে বিএসএনএল -এর মোতায়েন করা বিটিএসগুলি। কারণ ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে থাকবে এক একটি সিঙ্গেল BTS। শুধু তাই না থাকবে উন্নত প্রযুক্তি। যার ফলে বিএসএনএল ৪জি পরিষেবার (BSNL 4G Service) দিক পরিবর্তনের জন্য BSNL টাওয়ারে উঠতে হবে না কর্মীদের। থাকবে রিমোট সেন্সিং ব্যবস্থা। অর্থাৎ রিমোটের সাহায্যেই তা পরিবর্তন করা যাবে।
প্রসঙ্গত বর্তমানে ভারতীয় মার্কেটে মোবাইল, অটোমোবাইল সব জায়গাতেই কোম্পানির সাথে কোম্পানির চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। সেদিক থেকে পিছিয়ে নেই টেলিকম সংস্থাগুলিও। গ্রাহকদের রাস টানতে উঠে পড়ে লেগেছে এয়ারটেল, জিও প্রভৃতি সংস্থাগুলি। ফলেই ভারতের অন্যতম টেলিকম সংস্থা Jio, Airtel বহুদিন আগেই ৪জি, ৫জি নেটওয়ার্ক লঞ্চ করেছে। অপরদিকে সেই দিক থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল ৪জি (BSNL 4G Service) নেটওয়ার্ক লঞ্চ করতে অনেকটাই সময় নিয়েছে। শেষ পর্যন্ত দেশীয় প্রযুক্তির মাধ্যমে ৪জি/5G চালু করতে চলেছে বিএসএনএল। ফলেই TCS-এর নেতৃত্বাধীন C-DoT ও প্রযুক্তির জন্য তেজস নেটওয়ার্কের উপর দায়িত্ব দিয়েছে বিএসএনএল।
আরও পড়ুন ? Powerful Jio Hanuman: Jio অতীত, স্মার্ট বাজার অতীত, এবার সবাইকে পিছনে ফেলে আম্বানি আনছে ‘হনুমান’
রিপোর্ট বলছে তেজস নেটওয়ার্ক বিএসএনএল ৪জি নেটওয়ার্কের গিয়ারগুলি তৈরি করেছে। অপরদিকে আগামী ৯ বছর নেটওয়ার্ক সিস্টেমের ইন্টিগ্রেটর এবং পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব থাকবে টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস। এই পরিষেবা চালু করার জন্য ইতিমধ্যেই মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর শহরে ৫৫টি বিটিএস পৌঁছেছে। যা জানিয়েছেন অ্যাডভাইসরি কমিটির সদস্য রাম স্বরূপ মুন্দ্রা।
খবর হয়েছে বিএসএনএল ৪জি পরিষেবা (BSNL 4G Service) চালুর জন্য আরও বিটিএস আসবে। মার্চের প্রথম সপ্তাহে আসবে দ্বিতীয় লটের বিটিএস। যা ভবিষ্যতে ৫জি-তে আপগ্রেড করা যাবে। জিও, এয়ারটেলৈর পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর শহরে বিএসএনএল ৪জি নেটওয়ার্ক কতটা পরিষেবা দেয় সেটাই দেখার। গ্রাহকদের কতটা খুশি করতে পারে সেটারই অপেক্ষা।