নিজস্ব প্রতিবেদন : ফোন করলে অপর প্রান্তের থেকে ভেসে আসে চেনা মানুষের গলা। এরপর থেকে ফোন করলে গলার আওয়াজের সাথে সাথে চোখের সামনে মানুষটিকেও দেখা যাবে। এর সাথে থ্রিডি ডাইমেনশনে চ্যাট করা যাবে। হ্যাঁ, এই প্রথম কোনো টেলিকম সংস্থা হলোগ্রাফিক থ্রি-ডি কনটেন্টের সুবিধা নিয়ে আসছে। রিলায়েন্স জিও এই সুবিধা এনে দিচ্ছে।
এতদিন ফোন করলে শুধু অডিও সিস্টেম কাজ করতো। এরপর থেকে কাউকে ফোন করলে অডিওর সাথে হবে ভিডিও কনফারেন্স ও আর তার সাথে করা যাবে চ্যাটও। জিও’র নতুন প্রযুক্তি জিও গ্লাস খুব শীঘ্রই এরকমই একটি ভার্চুয়াল জগৎ আমাদের সামনে তুলে ধরতে চলেছে।
রিল্যায়ান্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড অত্যাধুনিক এই জিও গ্লাসের আধুনিক সিস্টেমের বিষয়ে ঘোষণা করে দিল। ৪৩তম ভার্চুয়াল এজিএম ইভেন্টে জিও কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে এই ঘোষণা করা হয়েছে। এই ইভেন্টে জানা গেছে যে, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির জিও-গ্লাস আনতে চলেছে তারা ,যার মধ্য দিয়ে কণ্ঠস্বরের সাথে সাথে জীবন্ত হয়ে উঠবে মানুষের মুখও।
অডিও কলিং এর সাথে ভিডিও এবং চ্যাট এই তিনটি প্রযুক্তিই যুক্ত করা হবে একসাথে। জিও-গ্লাস একসাথে এই তিন প্রযুক্তির পরিষেবা দেবে। আর এই থ্রিডি টেকনোলজি যোগ করেই দূরের মানুষ মুহূর্তের মধ্যেই আমাদের ধরাছোঁয়ার কাছে চলে আসবেন। লকডাউনের বন্দী জীবন এই ভাবেই হয়ে উঠবে রঙীন। মুহুর্তের মধ্যেই প্রিয় মানুষদের অস্তিত্ব অনুভব করা যাবে এই জিও গ্লাসের মাধ্যমে। এই গ্লাস ব্যবহার করলে মনে হবে প্রিয় মানুষ টি যেন চোখের সামনেই বসে আছে-এমন ই অত্যাধুনিক ব্যবহার এই জিও গ্লাসের।
ভার্চুয়াল রিয়ালিটির বিষয়টা তুলে ধরবে জিও গ্লাস। এখন ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বলতে বোঝায় দূরের মানুষকে চোখের সামনে এনে দেবে। ধরুন আপনি কারো সাথে ফোনে কথা বলছেন বা ভিডিও কনফারেন্সে কথা হচ্ছে এই মুহূর্তে যদি আপনি আপনার চোখের সামনে জিও গ্লাস পড়েন তাহলে আপনার মনে হবে যে আপনি যে মানুষটির সাথে কথা বলছেন সেই মানুষটি একবারে আপনার চোখের সামনে আছে। যা থ্রিডি সিনেমার ক্ষেত্রেও হয়। থ্রি-ডি সিনেমা দেখলে মনে হয় সিনেমার চরিত্রগুলো যেন আমাদের চারপাশে ঘোরাঘুরি করছে। জিও গ্লাসে হাই-ডেফিনিশন ৪কে স্ক্রিন থাকার কারণে দূরের জিনিস দেখলে মনে হবে চোখের অনেক কাছে ঘটনাটি ঘটছে। মনে হওয়ার এই যে বিশেষ অনুভূতি একেই বলা হয় হলোগ্রাফিক কলিং। এর সাহায্যে টুডি কনটেন্টকে থ্রিডিতে রুপান্তরিত করা যায়।
ভিডিও কনফারেন্স আর ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এই দুটি জিনিস যখন একত্রে সম্পন্ন হচ্ছে তখনই তাকে তথ্য প্রযুক্তির ভাষায় বলা হচ্ছে ‘মিক্সড রিয়ালিটি’।
Jio’s latest innovation, Jio Glass, is at the cutting edge of technology that provides best-in-class Mixed Reality services to give users a truly meaningful immersive experience: Kiran Thomas at #RILAGM #NayeIndiaKaNayaJosh #Jio #JioGlass
— Reliance Jio (@reliancejio) July 15, 2020
জিও গ্লাসের ফলে একদিকে যেমন থ্রিডিতে ভার্চুয়াল চ্যাট করা যাবে। কোন ভিডিও কনফারেন্সের সাহায্যে মিটিংয়ে অ্যাটেন্ড করা যাবে। সাধারণ লেন্সের তুলনায় এই জিও গ্লাস কয়েকশোগুণ উন্নত। লকডাউনের ফলে স্কুল-কলেজ সব বন্ধ তাই অনলাইন ক্লাস হচ্ছে বেশিরভাগ জায়গায়। জিও-গ্লাসের ফলে অনলাইনে সকল ক্লাস খুব সহজেই অ্যাটেন্ড করা যাবে।
রিলায়েন্স জিওর তরফ থেকে যতটুকু জানা গেছে তা হলো এই জিও গ্লাসটির ওজন হবে ৭৫ গ্রাম। হাই-রেজোলিউশন ফ্রেম স্ক্রিন থাকবে এতে। এই হাই রেজোলিউশন স্কিনের মধ্যে মাল্টিভিউ কন্টেন্ট একেবারে পরিষ্কার ঝকঝকে দেখা যাবে। এই জিও গ্লাসটি মোবাইল ফোনের সঙ্গে যুক্ত করলেই এই সুবিধা পাওয়া যাবে। মোবাইল ফোনের সাথে কেবলের মাধ্যমে এই জিও গ্লাস যুক্ত করা যাবে।