থাকতে হবে ৩০ দিনের ভ্যালিডিটি প্ল্যান, ট্রাই-এর নির্দেশে কতটা লাভবান হবেন গ্রাহকরা

নিজস্ব প্রতিবেদন : মাস যেখানে ৩০ দিনের, সেই জায়গায় টেলিকম সংস্থাগুলি তাদের রিচার্জ প্ল্যানের ক্ষেত্রে ভ্যালিডিটি দিয়ে থাকে ২৮ দিন। টেলিকম সংস্থাগুলির এই দ্বিচারিতা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সরব হচ্ছেন গ্রাহকরা। একাধিক অভিযোগের পর অবশেষে ট্রাই একটি নির্দেশিকা জারি করেছে।

ট্রাই-এর তরফ থেকে জারি করা সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, “প্রত্যেকটি টেলিকম সংস্থাকেই অন্তত একটি প্ল্যান ভাউচার, একটি স্পেশাল ট্যারিফ ভাউচার ও একটি কম্বো ভাউচার আনতে হবে, যার মেয়াদ ৩০ দিন হবে।” কিন্তু প্রশ্ন হল ট্রাই-এর এই নির্দেশিকার পরে কতটা লাভবান হবেন গ্রাহকরা।

টেলিকম সংস্থাগুলির লাভ

টেলিকম সংস্থাগুলি ৩০ দিনের পরিবর্তে ২৮ দিনের ভ্যালিডিটি দেওয়ার কারণে তাদের বিপুল পরিমাণ মুনাফা হয়ে থাকে। কারণ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে হিসাব করলে লক্ষ্য করা যাবে, এই ২৮ দিন করে ভ্যালিডিটি দেওয়ার কারণে এক বছরে একটি গ্রাহককে ১৩ বার রিচার্জ করতে হয়। ফলে এক মাসের রিচার্জ টেলিকম সংস্থাগুলি গ্রাহকদের কাছে আলাদাভাবে লাভ হিসেবে পেয়ে থাকে।

নতুন নির্দেশিকায় গ্রাহকদের লাভ

নতুন নির্দেশিকা জারি করার পর ট্রাই-এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতিটি টেলিকম সংস্থাকে এই নির্দেশিকা জারি হওয়ার পর ৬০ দিনের মধ্যে তা কার্যকরী করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে গ্রাহকদের লাভ, না লোকসান হবে তা নির্ভর করছে সম্পূর্ণ টেলিকম সংস্থাগুলির উপরই।

কারণ টেলিকম সংস্থাগুলি যদি ৩০ দিন ভ্যালিডিটি দিতে গিয়ে দাম বাড়িয়ে নতুন রিচার্জ প্ল্যান লঞ্চ করে তাহলে গ্রাহকদের কোন সুবিধা হবে না। কিন্তু যদি টেলিকম সংস্থাগুলি আগের ২৮ দিনের ভ্যালিডিটি রিচার্জ প্ল্যানগুলির দাম না বাড়িয়ে ৩০ দিন ভ্যালিডিটি করে দেয় তাহলে গ্রাহকদের অনেকটাই লাভ হবে। আবার ৩০ দিনের ভ্যালিডিটি প্ল্যান রিচার্জ করার যে প্রবণতা কম ছিল, নতুন রিচার্জ প্ল্যান এলে সেই প্রবণতা বাড়বে বলেই মনে করছেন টেক বিশেষজ্ঞরা।