নিজস্ব প্রতিবেদন : বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর শুভেন্দু অধিকারীর সাথে বৈঠক হয় আসানসোলের বিদায়ী মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির। যার পর আবার শুভেন্দু অধিকারী দলত্যাগ করতেই পদত্যাগপত্র জমা দেন জিতেন্দ্র তিওয়ারিও। এরপরেই রাজনৈতিক মহলে তাকে ঘিরে শুরু হয় জল্পনা, তাহলে কি তিনিও গেরুয়া শিবিরের পথে! তবে জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলছেন অন্য কথা। আর যা নিয়েই এখন রাজনৈতিক মহলের চরম জল্পনা বিজেপি নাকি পুরাতন পেশা!
জিতেন্দ্র তিওয়ারি পদত্যাগ করার পর তার নিরাপত্তা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এযাবৎ ১০ জন নিরাপত্তা রক্ষী পেতেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। কিন্তু এদিন ৮ জন নিরাপত্তা রক্ষী প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। জিতেন্দ্র তিওয়ারি এই বিষয়ে জানিয়েছেন, ‘এতদিন হয়তো আমার জীবন মূল্যবান ছিল। এখন আর নেই। যার কেউ নেই তার ভগবান আছে।’ এর পাশাপাশি তিনি এটাও দাবি করেছেন যে, বাকি দুজন নিরাপত্তারক্ষীকেও চলে যেতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জিতেন্দ্র তিওয়ারি পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পরেই ধরেই নেওয়া হচ্ছিল যে তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন। জিতেন্দ্র তিওয়ারি অবশ্য এই দাবিকে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎ দেওয়ার সময় খারিজ করেছেন। আর এই দাবি খারিজ করার পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, কলকাতায় এসে দুদিন নিজের মেয়ের সাথে কাটাবেন। তারপর আসানসোলে ফিরে আইনজীবী হিসেবে নিজের পুরাতন পেশায় ফিরে যাবেন।
অন্যদিকে যখন জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিজেপিতে যোগদান নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে তখন সংসদ বাবুল সুপ্রিয় জানিয়ে দিয়েছেন, জিতেন্দ্র তিওয়ারি বিজেপিতে এলে তিনি মেনে নেবেন না। যদিও এর পরিপ্রেক্ষিতে জিতেন্দ্র তিওয়ারি জানিয়েছেন, ‘কোন কারণে উনি হয়তো আমার উপর ক্ষুব্ধ থাকতে পারেন। চেষ্টা করব ভবিষ্যতে যেন আমার সম্পর্কে তাঁর এমন ধারণা না হয়।’ আর জিতেন্দ্রর এই মন্তব্যেও জল্পনা বিজেপিতে যোগদান নিয়ে। সুতরাং এখনই নিশ্চিতভাবে এই প্রাক্তন তৃণমূল নেতাদের ভবিষ্যৎ বলা অত্যন্ত দুরূহ।