কাঁচা বাদাম গানের সঙ্গে বাদাম বিক্রির পরিকল্পনা কেন, নিজেই জানালেন ভুবন বাদ্যকর

নিজস্ব প্রতিবেদন : বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের অন্তর্গত লক্ষীনারায়নপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুড়ালজুড়ি গ্রামের ভুবন বাদ্যকরকে এখন চেনেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। তিনি তার কাচা বাদাম গানের দৌলতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছেন এবং তারপরেই সোশ্যাল মিডিয়ার সেন্সেশন হয়ে উঠেছেন। তবে অনেকের মধ্যেই প্রশ্ন কীভাবে এই কাঁচা বাদাম গানের সঙ্গে বাদাম বিক্রির পরিকল্পনা করে ফেললেন ভুবন বাদ্যকর।

এই বিষয়ে ভুবন বাদ্যকর জানিয়েছেন, তিনি কাচা বাদাম নিয়ে যখন প্রথম ব্যবসা শুরু করেন তখন একটি সাইকেল নিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরতেন। পরবর্তীকালে একটি সেকেন্ড হ্যান্ড মোটরসাইকেল কেনেন। এখন যখন গ্রামে গ্রামে এই কাঁচা বাদাম বিক্রি করছিলেন সেই সময় তাদের একজন তাকে প্রথম জিজ্ঞেস করেন, চুল দিয়ে বাদাম পাওয়া যাবে? তখন তিনি বলেন হ্যাঁ। এরপর আস্তে আস্তে হাঁসের পালক, পুরাতন সিটি গোল্ড গয়না, বালা ইত্যাদি দিয়েও গ্রামের মানুষেরা তার কাছ থেকে বাদাম কিনতে চান।

ভুবন বাদ্যকর মানুষের এই চাহিদা দেখে পুরাতন এই সকল জিনিসের বদলে কাচা বাদাম দেওয়া শুরু করেন। কারণ এখনও প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দারা পুরাতন জিনিসপত্র এই ভাবেই বিক্রি করে থাকেন। এখনও দেখা যায় পুরাতন ভাঙাচোরা জিনিসের বদলে চাটনি, আচার, শোনপাপড়ি ইত্যাদি বিক্রি করছে। তিনি এই জায়গাটিকেই কাজে লাগান।

গান বাধার বিষয়ে ভুবন বাদ্যকর জানিয়েছেন, প্রথম দিকে তিনি ‘কাচা বাদাম নেবে, কাচা বাদাম’ এই ভাবেই বাদাম বিক্রি করতেন। কিন্তু পরে এই সকল পুরাতন জিনিস সিটি গোল্ড, বালা ইত্যাদি নেওয়ার সময় গুনগুন করে ছড়ার মত তৈরি করেন। তারপরেই ধীরে ধীরে তার গানে পরিণত হয়ে যায়। পরে তিনি যেখানেই যেতেন বাদাম বিক্রি করার জন্য এই গান গেয়েই বাদাম বিক্রি করতেন।

এর পাশাপাশি ভুবন বাদ্যকর জানিয়েছেন, প্রথম থেকেই তার গানের প্রতি ঝোঁক ছিল। তবে কোথাও গান শেখেন নি অথবা গান গাননি। নিজেদের এলাকায় গুনগুন করে গান গাইতেন। অন্যদিকে ভুবন বাদ্যকরের আচার-আচরণ খুব মজার। পাশাপাশি তিনি অত্যন্ত ঠাকুর ভক্ত। যে কারণে তাকে যেখানেই যেতে দেখা যায় লক্ষ্য করা যায় ঠাকুরের নাম মন্ত্র জপ করার জন্য মালা নিয়ে ঘুরতে।