Bong Guy, Kiran Dutta was also a very bright student in secondary school: গিটার হাতে ফিনফিনে চেহারার সেই লাজুক ছেলেটা আজ বাংলা প্রোডাকশন হাউসের স্ক্রিপ্ট লেখা থেকে শুরু করে ছোটখাটো অভিনয়তেও সফলতার এক উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন। সেই ছেলেটি আর কেউ নয় আপনাদের খুব কাছের মানুষ যাকে আপনারা সব সময় আপনাদের স্মার্টফোনে বন্দী করে রেখেছেন – কিরণ দত্ত। যদিও তার আসল নামের চেয়ে তিনি বেশি পরিচিত ‘দ্য বং গাই’ নামে। আজ ফিরে যাবো তার স্কুল জীবনে। তিনি কেমন রেজাল্ট (Kiran Dutta Result) করেছিলেন জেনে নেব এই প্রতিবেদনে।
ইউটিউবটা যে আমাদের মত সাধারণ মানুষের উপার্জনের এক অন্যতম মাধ্যম হতে পারে সেটি প্রথম জানতে পারি কিরণ দত্তের হাত ধরে। তিনি ২০১৫ সালে প্রথম YouTube এ তার একটি চ্যানেল উদ্বোধন করেন। সাধারণত কমেডি ভিডিও আপলোড করে তিনি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আপামর জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হন। এইভাবে একা একা বকবক করে ঘরে বসে যে ইউটিউব থেকে উপার্জন করা যায় তা প্রথম তরুণ-তরুণীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে ‘বং গাই’ এর মাধ্যমেই।
কিরণ দত্তকে দেখেই বহু যুবক-যুবতী প্রথম সাহস যোগায় ইউটিউব এ ভিডিও করার। লকডাউনের পর থেকে তার নিজস্ব ব্লগিং চ্যানেল শুরু হয়। তার মনে হয় যেসমস্ত মানুষের নিত্যনতুন জিনিস করে দেখানোর ক্ষমতা রয়েছে, যারা ক্যামেরাকে ভয় না করে আপন করে নিতে পারেন যারা সাবলীলভাবে কথা বলে মানুষের মন কাড়তে পারে, তারা খুব সহজেই ইউটিউবে ভিডিও বানিয়ে উপার্জনও করতে পারে। তার কমেডি ভিডিওর মত তার ব্লগিং চ্যানেলেও খুব অল্প সময়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে মানুষের মধ্যে।
আরও পড়ুন ? Income of Bong Guy: বং-গাই কিরণের ইউটিউব থেকে কত রোজগার! শুনলে লজ্জা পাবেন বড় বড় কোম্পানির সিইওরাও
তবে আমাদের সমাজে একটি দীর্ঘ প্রতিষ্টিত ধারণা রয়েছে যে পড়াশোনা করে চাকরি ছাড়া অন্য কোন উপায়ে উপার্জন করা সম্ভব নয়। তাই ব্লগিং করেও যে উপার্জন করা যায় তা বেশিরভাগ মা-বাবাই বিশ্বাস করতে চান না। তবে কিরণ দত্ত তাদের ভ্রান্ত ধারণায় জল ঢেলে দেন। কিরণ দত্তের স্কুল জীবনের রেজাল্ট দেখলে তাবড় তাবড় মেধাবীরাও অবাক হয়ে যাবেন।
মাধ্যমিকে প্রতিটি বিষয়ে খুব ভালো নম্বর পেয়ে AA নিয়ে পাশ করেছেন। এরপর উচ্চমাধ্যমিকে সায়েন্স নিয়ে পড়েন। যদিও ক্লাস ইলেভেনে গার্লফ্রেন্ড হওয়ার পর মনটা একটু উড়ু উড়ু হয়, তবে পড়াশুনায় কোনো খামতি ছিল না তার। তিনি নিজে তার রেজাল্টের (Kiran Dutta Result) ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে আপলোড করেন। তার রেজাল্ট দেখে অনেকেই আপ্লুত হন ও অনুপ্রেরণা পান। একজন মেধাবী ছাত্র হয়েও যে ইউটিউবের জগতে প্রবেশ করা যায়, সেই ধারণা গড়ে ওঠে অনেকের মনে। তার রেজাল্ট দেখে অনেক শিক্ষক শিক্ষিকারা ভালো ভালো কমেন্ট করেন।
আসলে কিরণ দত্ত নিজে বিশ্বাস করেন যে কাজই করা হোক না কেন, তার জন্য ভীতটাকে খুব শক্ত করে তৈরি করতে হবে। আর এই ভীত তৈরি করতে গেলে দরকার পড়াশোনা। তাই ছোট থেকে মন দিয়ে পড়াশোনা করতে হবে। তিনিও সব সময় যাই করুক না কেন পড়াশোনার দিকটা ঠিক রাখার চেষ্টা করতেন। আর তাই হয়তো এই দুর্ধর্ষ রেজাল্ট (Kiran Dutta Result) করতে পেরেছেন।