History of Sealdah Station: শিয়ালদাহ স্টেশনের নাম কোথায় থেকে এসেছে? জড়িয়ে রয়েছে ১৫৫ বছর আগের ইতিহাস

Prosun Kanti Das

Published on:

Know about the History of Sealdah Station: ভারতের রেল ব্যবস্থা হল এমন একটি পরিবহন ব্যবস্থা যার শিরা উপশিরার মত ছড়িয়ে রয়েছে গোটা দেশে। ধনী থেকে দরিদ্র সবার কাছে এই পরিবহন ব্যবস্থার গুরুত্ব অনেকটাই বেশি। স্বল্প খরচে এবং অল্প সময়ে বহু জায়গায় আপনি চলে যেতে পারবেন এই পরিবহন ব্যবস্থার সাহায্যে। আজকের প্রতিবেদনে আমরা এশিয়া মহাদেশের সবথেকে ব্যস্ততম রেল স্টেশন অর্থাৎ উত্তর কলকাতার শিয়ালদহ স্টেশন সম্পর্কে (History of Sealdah Station) জেনে নেব। কিভাবে প্রথম উৎপত্তি হয়েছিল এই স্টেশনের? প্রথম নামকরণই বা কিভাবে হয়? সব অজানা প্রশ্নের উত্তর জানতে পারবেন আজকের প্রতিবেদনে।

এই স্টেশনটি হল কলকাতার শহরের প্রাণকেন্দ্র কারণ দিন থেকে রাত পর্যন্ত যাত্রীদের ছোটাছুটিতে স্টেশনটি সর্বদাই ব্যস্ত থাকে। দেশ স্বাধীন হওয়ার আগেই স্থাপন করা হয়েছিল এই স্টেশনটির। স্টেশনের ডিজাইন বা নকশা তৈরির দায়িত্বভার পড়েছিল মিস্টার ওয়াল্টার গ্ল্যানভিল এর কাঁধে। তবে এই স্টেশনের নামকরণ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা একেক জন একেক রকম মত পোষণ করেছেন (History of Sealdah Station)। বিভিন্ন সাহিত্যিক এবং লেখকের লেখাতেও বারংবার উঠে এসেছে এই স্টেশনের নাম।

এই শহরের ইতিহাসবিদ পি থাঙ্কপ্পন নায়ারের মতে, বহু বছর আগে কলকাতা যখন প্রায় জনমানবহীন ছিল তখন এসব অঞ্চল বিশাল জলাভূমিতে পরিপূর্ণ ছিল। তার মধ্যে দ্বীপের মতো কিছু জমি ছিল। শিয়ালদহর সম্ভবত পূর্ববর্তী নাম ছিল শিয়ালডিহি। প্রাচীনকালের অভিধান অনুযায়ী ‘শিয়াল’ শিয়রে বা পূর্বদিক এবং ডিহি কথাটার অর্থ গ্রাম। ইতিহাসের বই পড়লে আমরা সবাই জানতে পারি যে সুতানটি-গোবিন্দপুর-কলকাতা এই তিন অঞ্চল নিয়ে কলকাতা শহরের পতন হয়েছিল। প্রাচীনকালে শিয়ালদহ (History of Sealdah Station) ছিল শুধুমাত্র একটি স্টেশনের নাম আর এখন এটি একটি জায়গার নামে পরিণত হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে চিকিৎসা, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প এবং সর্বোপরি বাঙ্গালীর আবেগ।

আরও পড়ুন ? Indian Railways Sealdah Division: লোকাল ট্রেনে ঝুলে ঝুলে যাওয়ার দিন শেষ! এবার শিয়ালদায় নয়া পরিকল্পনা রেলের

সাহিত্যিকদের লেখাতে শিয়ালদহ স্টেশনের নাম অনেকবারই উঠে এসেছে। লেখক হ্যারি কটন তাঁর লেখা ‘Calcutta: Old and New’ বইটিতে এই স্টেশনটি (History of Sealdah Station) সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি জানিয়েছিলেন ১৭৫৭ সালে আগে শিয়ালদহকে বলা হয়েছিল একটি ‘উঁচু বাঁধানো পথ, যা পূবদিক থেকে আসছে’।

সুকুমার সেনের লেখাতে আমরা দেখতে পাই যে, শিয়ালদহ নামটি প্রথম উঠে এসেছে শ্যাওলায় ভরা দেহ বা শৈবাল দহ থেকে। আবার ডিহি শুঁড়ার তার্জিয়ায় ধর্মীয় অনুষঙ্গ হিসেবে হাসান হোসেনের কবরের প্রতিরূপগুলি ফেলা হত এখানে অবস্থিত একটি দহে। সেই শিয়া-র দহ থেকেই এর নাম উঠে এসেছে শিয়ালদহ। যাদের কাছে শিয়ালদহ স্টেশনটির নামকরণ একেবারে অজানা ছিল আশা করি এই প্রতিবেদনটি পড়ার পরে আর তা অজানা থাকবে না।