Maa Kali Temples Kolkata: কালের নাশ করেন যেই দেবী তিনিই মা কালি। গলায় নরমুন্ড ধারী উগ্ররূপী মা কালী পুজিত হন ভারতের বিভিন্ন স্থানে। কিন্তু কলকাতাতেই আছে এমন কিছু স্থান যেখানের দেবীর মন্দির অন্য সকল কালী মন্দিরের (Maa Kali Temples Kolkata) তুলনায় আলাদা। এখানে কোথাও মা কালীর মন্দিরে জ্বলে শ্মশানের চিতার আগুন আবার কোথাও মাকে ভোগ হিসেবে দেয়া হয় চাউমিন স্টিকি রাইস। সর্বশেষে বলব এমন এক মন্দিরের কথা যেখানে স্বয়ং মা কে লোহার শেকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়।
উত্তর কলকাতায় অবস্থিত বেলগাছিয়াতে তারাশঙ্করী পিঠ নামক এই মন্দির অবস্থিত। এই মন্দিরে দেবীর রূপ দেখলে অবাক হয়ে যান অনেকেই। বড়ই অদ্ভুত এই মন্দিরে (Maa Kali Temples Kolkata) দেবীর রূপ ও মন্দিরের অন্দরসজ্জা। সারাবছর তন্ত্ররূপে পুজিত হন মা কালী। এই মন্দিরে মায়ের রূপ অন্য মন্দিরের থেকে অনেক বেশি উগ্র, তার দাঁত প্রকটমান এবং তা রক্তস্নাত। মা কালির সাথে সাথে এখানে পুজো করা হয় কালভৈরব ও যশোমাধবকে।
মায়ের পুজো ছাড়া আলাদা ভিন্ন ভাবে পুজো করা হয় কালভৈরব ও যশোমাধবকে। পুজোর রীতি অনুযায়ী এই মন্দিরে রোজ কোনো চিতার আগুন জ্বলে। সর্বপ্রথম বারাণসী থেকে এক সধবার চিতার কাঠ এনে জ্বালানো হয়। তারপর থেকেই চলছে এই রীতি। আগুন নেভেনা কোনো সময় এই মন্দিরে। সত্যি কি অদ্ভুত ঘটনা, শুনলেই যেন গায়ের রোম খাড়া হয়ে ওঠে।
আরো পড়ুন: মন্দিরে কে বিরাজমান? মা কালী নাকি জগন্নাথদেব? কেন সংশয় ভক্তদের মনে?
ভারতে চীনাদের প্রবেশ বহুকাল আগে থেকেই। কলকাতার ট্যাংরা নামক স্থানে বসতি গড়ে তোলেন তারা। নিজেদের রীতিনীতি ছাড়াও বাঙালি রীতিনীতিতে সংযুক্ত হয়ে তারাও শুরু করেন মা কালির পূজা। কিন্তু তাদের পুজোতে তারা তাদের মতন করে মা কালীকে পুজো দেন। এবং ভোগ হিসেবে তারা দেয় চাওমিন, স্টিকি রাইস এছাড়াও আরো অনেক চাইনিজ খাবার দাবার। পুজোয় তাঁরা যেই ধূপকথিটি ব্যবহার করা হয় তার নাম চিনা ধূপকাঠি। ট্যাংরার চিনা পাড়ার এই মন্দিরের নাম চাইনিজ কালি মন্দির।
আরো পড়ুন: সামনেই কালীপুজো! জানেন কি নৌহাটির বড় মায়ের পুজোর দিনক্ষণ কখন?
এইবার জানাবো সেই সবথেকে অদ্ভুত ও রহস্যময় মন্দিরের কথা যেখানে মা কালীকে বেঁধে রাখা হয় লোহার শিকল দিয়ে। যা দেখে অবাক হন ভক্তগন। এই মন্দিরটি দক্ষিণ কলকাতার চেতলায় অবস্থিত। মন্দিরটি ডাকাত কালি মন্দির (Maa Kali Temples Kolkata) নামে পরিচিত। এইখানে অবস্থিত মা এর মূর্তির উচ্চতা অনেক বেশি হয়। এবং তাঁর চার হাতে বাঁধা থাকে লোহার শিকল। হ্যাঁ দেবী পুজিত হন এভাবেই। মানা হয় দেবী এখানে খুবই চঞ্চল, তাকে নিয়ে অনেক ঘটনাও আছে। তাঁর চঞ্চলতা আটকাতেই শেকল বেঁধে রাখা হয় তাঁর হাতে।