Know about some Rules of Indian Railways while you are travelling: ভারতীয় রেলের এমন অনেক কিছু নিয়ম কানুন (Rules of Indian Railways) আছে যেগুলি সাধারণ মানুষ জানেন না। সেই নিয়মাবলী সম্পর্কে বিশেষ কোনো খোঁজ খবর না নিয়েই যাত্রীরা অনেক সময় নানা ধরনের ভুল করে ফেলেন। আর এই ভুলগুলি থেকেই ঘটে যেতে পারে অনেক বড় ধরনের বিপর্যয়। অনেকেই বাড়িতে থাকলে নিজের মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক পণ্য ব্যবহার করার পর সারা রাত চার্জে বসিয়ে রাখেন। সে ক্ষেত্রে অনেকেই ভাবেন দূরপাল্লার ট্রেনে যাত্রা করার সময়ও সাথে থাকা চার্জিং পোর্টটি দিয়ে সারা রাতের জন্য সেটি চার্জে বসিয়ে রাখবেন।
যদি আপনিও ট্রেনের মধ্যে নিজের ইলেকট্রনিক পণ্য সারারাত চার্জ দেওয়ার কথা ভাবেন তবে জেনে রাখুন এটি সম্পূর্ণভাবে ট্রেনের নিয়মবিরুদ্ধ (Rules of Indian Railways)। কারণ ভারতীয় রেলওয়ে নিজের সুরক্ষা ব্যবস্থাকে যথাযথ রাখতে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করেছে ট্রেনের মধ্যে কোনো ইলেকট্রনিক দ্রব্য চার্জ দেওয়ার ক্ষেত্রে। ১১টার পর মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপে চার্জ দিতে পারবেন না। জেনে রাখা ভালো রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত ট্রেনের মধ্যে চার্জিংয়ের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকে। এই সময়ে রেলযাত্রী নিজের কোনো ইলেকট্রনিক পণ্য চার্জ দিতে পারবেন না। এই ৬ ঘণ্টা চার্জিং ডকগুলিও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকে। তাই চাইলেও ওই সময়ের মধ্যে মোবাইল সহ অন্য কোনো ইলেকট্রনিক পণ্য চার্জ দেওয়া সম্ভব নয়।
আগে ভারতীয় রেলের ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা ছিল না। কিন্তু ২০১৪ সালে ভারতীয় রেলওয়ের তরফ থেকে এই নিয়ম রেলের সমস্ত যাত্রীদের জন্য কার্যকর করা হয় (Rules of Indian Railways)। এর কারণ হিসেবে জানা যায় বেঙ্গালুরু-হাজুর সাহিব নন্দেদ এক্সপ্রেসে একবার মোবাইল ফোন ওভারচার্জিং হয়ে যাওয়ার কারণে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। আর এই দুর্ঘটনার পরেই রেল কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট সময়ে বিশেষত রাতের বেলা চার্জিং সিস্টেম বন্ধ রাখা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানা গেছে বারবার বিভিন্ন কারণে রেল নানাভাবে দুর্ঘটনা শিকার হয়েছে। এই দুর্ঘটনার কারণে রেলের বহু সম্পদ ক্ষতি হয়েছে। সেই সঙ্গে রেল দুর্ঘটনা হলে বহু যাত্রীর প্রাণহানির আশঙ্কা দেখা যায়। অনেক সময় মোবাইল ফোন বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক পণ্য বেশি চার্জ দেওয়া হয়ে গেলে সেখান থেকে অগ্নিকাণ্ডের সম্ভাবনা থাকে। তাই এই দুর্ঘটনার হাত থেকে যতটা সাবধান থাকা যায় সেই কথা মাথায় রেখেই রেলের এই ব্যবস্থা।