বাজারে নতুন নতুন মিষ্টি, নাম লেউড়ি, দাম ২০০! পাওয়া যায় শুধু এই বিশেষ সময়

নিজস্ব প্রতিবেদন : বাংলায় কত ধরনের নাম মিষ্টি (Sweet) পাওয়া যায়। রসগোল্লা থেকে শুরু করে ল্যাংচা, এখন আবার অন্যান্য নানান ধরনের মিষ্টি বাজারে আমদানি হচ্ছে। তবে এসবের মধ্যেই এবার নতুন এক মিষ্টির সন্ধান পাওয়া গেল, যে মিষ্টির নাম লেউড়ি। এই মিষ্টির দাম ২০০ টাকা কিলো। তবে আপনি চাইলে সারা বছর এই বৃষ্টি পাবেন না। এই মিষ্টি পাওয়া যায় কেবলমাত্র একটি বিশেষ সময়।

মিষ্টির নাম লেউড়ি (Leuri Sweet) শুনে অনেকের মধ্যেই নানান কৌতুহল জাগতে শুরু করেছে। অনেকেই বিষয়টিকে হাসির ছলে নিলেও কিন্তু এই মিষ্টি মালদার একটি ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি। তবে দুর্ভাগ্যের বিষয় হল এই মিষ্টি কেবলমাত্র একটি সময়েই পাওয়া যায়, আর বাকি সময় হাজার খোঁজাখুঁজি করলেও পাবেন না। আবার এই মিষ্টি পাওয়া যায় নির্দিষ্ট একটি জায়গাতেই। মালদার ঐতিহ্যবাহী লেউড়ি মিষ্টি পাওয়া যায় কেবলমাত্র মূলাষষ্ঠীর সময়। পুরাতন মালদার মোকাতিপুর বেহুলা নদীর তীরে মুলাষষ্ঠীর মেলায় এই মিষ্টির দেখা মেলে।

এখন নাম শুনে অনেকের মধ্যেই কৌতুহল তৈরি হচ্ছে এই মিষ্টি কি দিয়ে তৈরি হয়? অদ্ভুত নামের এই মিষ্টি তৈরির উপকরণ অবশ্য অদ্ভুত কিছু নয়। এই মিষ্টির উপকরণ বলতে চিনি। এই মিষ্টির জন্ম হয়েছে মুলাষষ্ঠী পুজোর ভোগ থেকে। এই পুজোর মূল ভোগ হল এই লেউড়ি মিষ্টি। এখানে যারা পুজো দিতে আসেন তারা প্রথমে এই মিষ্টি কেনেন এবং তারপর পুজো দেন। অন্যদিকে পুজোর প্রসাদ হিসাবে লেউড়ি মিষ্টি অনেকে বাড়ি নিয়ে যান। আবার অনেকেই রয়েছেন যারা মেলায় এসে এই ধরনের মিষ্টি কিনে নিয়ে যান।

আরও পড়ুন 👉 মালদার বাসিন্দাদের জন্য সুখবর, এবার স্টপেজ দেবে রাজধানী এক্সপ্রেস, কবে থেকে জানুন

লেউড়ি মিষ্টি বিক্রেতাদের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, এই মিষ্টি অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। এমনকি সারা বছর এদিক-ওদিক খোঁজাখুঁজি করলেও এই মিষ্টি পাওয়া যাবে না। তারা কেবলমাত্র মূলাষষ্ঠীর সময় এই মিষ্টি তৈরি করে থাকেন এবং বিক্রি করে থাকেন। মূলত মূলাষষ্ঠীর ভোগ হিসাবে এই মিষ্টি দেওয়া হয়ে থাকে এবং সেই জন্যই তারা এমন মিষ্টি বানান।

লেউড়ি মিষ্টি কেবলমাত্র চিনি দিয়ে তৈরি হলেও এই মিষ্টি বানানোর জন্য বিশেষ পদ্ধতি রয়েছে। যে পদ্ধতি অন্যান্য জায়গার মিষ্টি কারিগররা জানেন না বলেও দাবি করা হচ্ছে এলাকার মিষ্টি বিক্রেতাদের তরফ থেকে। প্রতি কিলো দুশো টাকা দরে বিক্রি হওয়া এই লেউড়ি মিষ্টি তৈরি করার সময় আগুনের নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় চিনির পাক তৈরি করা হয়। সেই পাক কেটে কেটে ছোট ছোট মিষ্টি তৈরি করা হয়ে থাকে। মিষ্টি দেখতে অনেকটা চকচকে, আমসত্ত্বের মতো।