নিজস্ব প্রতিবেদন : চিকিৎসা থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজে প্রতিদিনই বাংলাদেশ থেকে ভারতে বিভিন্ন সাধারণ নাগরিকদের আগমন হয়। এছাড়াও বিভিন্ন কাজে এবং ট্যুরের জন্য প্রচুর ভারতীয়রাও বাংলাদেশ যাতায়াত করে থাকেন। ভারত ও বাংলাদেশের যোগাযোগের মূল মাধ্যম হলো পশ্চিমবঙ্গ। মূলত পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা ও নিউ জলপাইগুড়ি থেকে বাংলাদেশের ট্রেন চলাচল করে।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বর্তমানে যে তিনটি ট্রেন যাতায়াত করে সেই তিনটি ট্রেনের মধ্যে একটি যাতায়াত করে ঢাকা থেকে কলকাতা, অন্য একটি যাতায়াত করে ঢাকা থেকে নিউ জলপাইগুড়ি এবং আরেকটি যাতায়াত করে খুলনা থেকে কলকাতা। এই তিনটি ট্রেন যে রুটে যাতায়াত করে তার থেকেও একটি সহজ রুটে (India-Bangladesh Easy Route) নতুন করে ট্রেন চলাচল শুরু হওয়া নিয়ে জল্পনা চলছে।
ঢাকা থেকে কলকাতা ট্রেনে যাতায়াত করতে সময় লাগে অন্ততপক্ষে সাড়ে ৮ ঘন্টা, খুলনা থেকে কলকাতা ট্রেনে সময় লাগে অন্ততপক্ষে ৫ ঘন্টা, অন্যদিকে ঢাকা থেকে নিউ জলপাইগুড়ি সময় লাগে প্রায় সাড়ে ৯ ঘন্টা। এক্ষেত্রে নতুন যে রুট নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে, সেই রুটটিতেও মাত্র ৫ ঘন্টার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে কলকাতা আসা যাবে। তবে নতুন এই রুটে এখনো ট্রেন পরিষেবা চালু হয়নি, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন খুব তাড়াতাড়ি তা চালু হবে।
নতুন যে রুটের কথা বলা হচ্ছে সেটি হল রাজশাহী থেকে কলকাতা। তবে এই দুই শহরের মধ্যে ট্রেন চলাচলের জন্য দুটি রুট রয়েছে। একটি রুটে দুই শহরের মধ্যে দূরত্ব হলো ৪২৫ কিলোমিটার। যদি ওই রুটে নতুন করে ট্রেন পরিষেবা চালু হয় তাহলে সময় লাগবে প্রায় ১১ ঘন্টা। তবে রাজশাহী ও কলকাতার মধ্যে ট্রেন চলাচল চালু হলে তা যদি নদীয়ার গেদে হয়ে যাতায়াত করে তাহলে দূরত্ব কমে দাঁড়াবে ২১৫ কিলোমিটার। এক্ষেত্রে রাজশাহী থেকে কলকাতা আসতে সময় লাগবে ৫ ঘন্টা মত।
রাজশাহী ও কলকাতার মধ্যে আগেও ট্রেন যাতায়াত করত। ১৯৬৫ সালে ভারত পাকিস্তানের যুদ্ধের সময় এই ট্রেন পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। পুনরায় এই ট্রেন পরিষেবার চালু হতে চলেছে। যদিও কোন রুটে ট্রেন চলাচল করবে তা এখনো ঠিক হয়নি। আগে মালদা ও মুর্শিদাবাদ হয়ে রাজশাহী থেকে ট্রেন আসতো কলকাতায়। আগামী দিনে যে ট্রেনটি চালু হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে সেটিও চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর সীমান্ত হয়ে মালদা, ফারাক্কা, কাটোয়া হয়ে কলকাতা আসতে পারে।