Lakshadweep: মালদ্বীপ অতীত! জেনে নিন কীভাবে সহজেই পৌঁছাবেন লাক্ষাদ্বীপ

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় পর্যটকদের কাছে এতদিন মালদ্বীপ (Maldives) বেশ জনপ্রিয় একটি পর্যটন কেন্দ্র ছিল। কিন্তু তা এখন অতীত হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতীয়দের কাছে মালদ্বীপ অতীত হয়ে দাঁড়ানোর পিছনে রয়েছে মালদ্বীপের নেতা মন্ত্রীদের ভারত বিরোধী মন্তব্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সম্প্রতি লাক্ষাদ্বীপ (Lakshadweep) ভ্রমণে গিয়েছিলেন এবং সেখানকার বেশ কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে এই জায়গা একবার ঘুরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

ভারতের লাক্ষাদ্বীপ প্রসঙ্গে ছবি দেওয়া এবং সেখানে একবার ঘুরে আসার আহ্বান জানানোর পরে মালদ্বীপের নেতা মন্ত্রীদের ভারত বিরোধী মন্তব্য ভারতীয়দের মন থেকে মালদ্বীপের সৌন্দর্য দূর হয়ে দাঁড়িয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন বয়কট মালদ্বীপ ট্রেন্ডিং শুরু হয়েছে। এমনকি মালদ্বীপের নেতা মন্ত্রীদের এমন বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের পর অনেক ভারতীয় রয়েছেন যারা মালদ্বীপের কনফার্ম টিকিট বাতিল করে লাক্ষাদ্বীপের দিকে যাওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করছেন।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লাক্ষাদ্বীপ সফর এবং তারপরেই মালদ্বীপের নেতা মন্ত্রীদের বিদ্বেষমূলক মন্তব্য লাক্ষাদ্বীপের দাম অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। ভারতের কেন্দ্রশাসিত এই অঞ্চল এবং এখানকার সমুদ্র সৈকত বরাবরই নজরকাড়া। তবে বর্তমান পরিস্থিতি আরও বেশি লাক্ষাদ্বীপে যাওয়ার হিড়িক বাড়িয়ে দিয়েছে। ট্রাভেল এজেন্টদের কাছে আসছে একের পর এক বুকিং, রীতিমতো হিড়িক পড়ে গিয়েছে লাক্ষাদ্বীপের হোটেল বুকিংয়ে। তবে প্রশ্ন হল এই এমন নীল সাগরের সৌন্দর্যমন্ডিত দ্বীপে যাওয়া যাবে কীভাবে?

লাক্ষাদ্বীপ হলো ভারতের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূল থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে। একাধিক দ্বীপ মিলে আরব সাগরের বুকে তৈরি হয়েছে এই দ্বীপপুঞ্জ। এখানে বিভিন্ন ধরনের অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস রয়েছে। যেমন স্কুবা ডাইভিং, স্নরকেলিং ইত্যাদি। এখানকার আবহাওয়া সারা বছরই থাকে খুব মনোরম। সবচেয়ে বড় বিষয় হল এখানকার সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখার অভিজ্ঞতা ভাষায় বলা সম্ভব নয়।

আরও পড়ুন 👉 দীঘা, দার্জিলিং অতীত! এবার দক্ষিণবঙ্গের এই পর্যটন কেন্দ্রে তৈরি হবে রোপওয়ে

আরব সাগরের মাঝে হওয়ার কারণে এখানে পৌঁছাতে গেলে পর্যটকদের বিমান অথবা জাহাজে চলে যেতে হয়। লাক্ষাদ্বীপের প্রবেশদ্বার হল কোচি। যে কারণে পর্যটকদের লাক্ষাদ্বীপ পৌঁছাতে হলে প্রথমে কোচি পৌঁছাতে হবে এবং সেখান থেকে বিমান অথবা জাহাজে চড়ে যেতে হবে লাক্ষাদ্বীপ। বিমানে করে যাওয়ার ক্ষেত্রে সময় কম লাগলেও জাহাজে যেতে সময় লাগে অন্ততপক্ষে ১৪ থেকে ১৮ ঘন্টা। মোটামুটি ভাবে ছয়টি জাহাজ পরিষেবা দিয়ে থাকে পর্যটকদের। তবে সময় বেশি লাগলেও জাহাজে যাওয়ার আনন্দ আলাদাই।

লাক্ষাদ্বীপের পাশাপাশি বাঙ্গারাম, আগাত্তি, কাদমত, মিনিকয়, কালপেনি, কাভারাত্তির মত ছোট ছোট একাধিক দ্বীপ ঘুরে দেখা যায়। এখানে ঘুরে দেখার জন্য রয়েছে একাধিক আদিবাসী গ্রাম, রয়েছে ৫২টি মসজিদ, ভার্চুয়াল আন্ডারওয়াটার মিউজিয়াম। এছাড়াও এখানে এতসব বিনোদনের জিনিস রয়েছে যাতে আনন্দ নিয়ে পর্যটকদের লাক্ষাদ্বীপ থেকে ফিরে আসতে মন চায় না।