দীঘা, দার্জিলিং অতীত! এবার দক্ষিণবঙ্গের এই পর্যটন কেন্দ্রে তৈরি হবে রোপওয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদন : বাঙালিরা ভ্রমণপিপাসু। বছরের যে কোন মরশুম হোক না কেন, হাতে টানা দিন তিনেক ছুটি পেলেই তারা ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন। তবে বাঙ্গালীদের কাছে ঘুরতে যাওয়ার পছন্দের জায়গা হিসাবে কয়েকটি পর্যটন কেন্দ্রই জায়গা করে নিয়েছে। সেই সকল পর্যটন কেন্দ্রের মধ্যে তালিকায় প্রথমে রয়েছে দীঘা, দার্জিলিং এবং পুরী। এই তিনটি জায়গার মধ্যে দুটি পশ্চিমবঙ্গে। পশ্চিমবঙ্গের দীঘা (Digha) এবং দার্জিলিংয়ে (Darjeeling) বিভিন্ন জায়গা ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি রোপওয়ে (Ropeway) ব্যবস্থা রয়েছে।

যে কারণে এইসব জায়গায় পর্যটকরা ঘুরতে গিয়ে বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখার পাশাপাশি রোপওয়েতে চড়ার আনন্দ উপভোগ করেন। তবে এবার রোপওয়েতে চড়ার ক্ষেত্রে দীঘা এবং দার্জিলিংকে অতীত করে নতুন একটি জায়গায় রোপওয়ে তৈরি হতে চলেছে। সেই জায়গাটি আবার দক্ষিণবঙ্গেই। দক্ষিণ বঙ্গের এমন একটি পর্যটন কেন্দ্রে রোপওয়ে চালু হতে চলেছে যা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না।

রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে যে সকল জেলা জ্বলজ্বল করছে তার মধ্যে অন্যতম একটি জেলা হল বাঁকুড়া (Bankura)। এই জেলায় যেমন ইতিহাসের গন্ধ পাওয়া যায় ঠিক সেই রকমই ঘুরে বেড়ানোর জন্য পাহাড় নদনদী কোন কিছুর অভাব নেই। আবার বাঁকুড়া জেলায় যে সকল পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম হলো মুকুটমনিপুর (Mukutmanipur)। বছরের বিভিন্ন সময় মুকুটমণিপুরে বিপুল সংখ্যক পর্যটকদের আগমন হয়ে থাকে। এবার এই জায়গাতেই রোপওয়ে বসানো হবে।

আরও পড়ুন 👉 Chhatna mukutmanipur railway line: আরও সহজ হবে মুকুটমণিপুর ভ্রমণ! নতুন রেলপথ নিয়ে চলছে জোর জল্পনা

মুকুটমণিপুর হলো এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম মাটির বাঁধ। এবার এই জলাধারের এক প্রান্তকে অন্য প্রান্তের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হবে রোপওয়ের মাধ্যমে। এই কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলেই মুকুটমণিপুর থেকে বনপুখুরিয়া ডিয়ার পার্ক পৌঁছানো যাবে রোপওয়েতে চড়ে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করার জন্য রাজ্যের পর্যটন বিভাগের বোর্ড ভাইস চেয়ারম্যান সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় উঠেপড়ে নেমেছেন।

যদিও এখানে এখনো পর্যন্ত রোপওয়ে তৈরি করার জন্য সরকারি ছাড়পত্র পাওয়া যায়নি। তবে কত দ্রুত ছাড়পত্র পাওয়া যায় সেই দিকে নজর রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি আরও একগুচ্ছ প্রকল্প এখানে চালু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। যেগুলির মধ্যে রয়েছে বারঘুটু পাহাড়ের রকক্লাইবিং, ওয়াটার রাইড, বোটিং, সুইমিং পুল ইত্যাদি।