নিজস্ব প্রতিবেদন : বর্তমানে ইউপিআই অথবা এই ধরনের বিভিন্ন পরিষেবার মাধ্যমে ডিজিটাল লেনদেন বাড়লেও এটিএম কাউন্টার এবং এটিএম কার্ডের ব্যবহার কমেনি। এটিএম কার্ড (ATM Card) মানুষের জীবনে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে পড়েছে। এমনকি ইউপিআই লেনদেন করা অথবা অনলাইনে কোন জিনিসপত্র কেনার ক্ষেত্রেও এটিএম কার্ড অত্যন্ত জরুরী।
বর্তমানে অধিকাংশ মানুষের কাছেই এটিএম কার্ড বা ডেবিট কার্ড (Debit Card) অথবা ক্রেডিট কার্ডের (Credit Card) মত কার্ড রয়েছে। এই সকল কার্ডের গায়ে থাকে ১৬ সংখ্যার একটি নম্বর। কার্ডের ভিত্তিতে আলাদা আলাদা নম্বর হয়ে থাকলেও প্রতিটি কার্ডের ১৬ সংখ্যার নম্বর কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বহন করে। শুধু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বললে কম হবে, কারণ এই ১৬ সংখ্যার নম্বরের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে দারুণ দারুণ সিক্রেট।
ডেবিট কার্ড অথবা ক্রেডিট কার্ডের গায়ে থাকা ১৬ সংখ্যার নম্বরের ভিত্তিতে বহু কিছুই জানা যেতে পারে। এই নম্বর থেকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও জেনে নেওয়া যেতে পারে। যেমন ষোল সংখ্যার নম্বরের প্রথম সংখ্যাটি বোঝায় MII অর্থাৎ মেজর ইন্ডাস্ট্রি আইডেন্টিফাইয়ার। এই নম্বরটির মাধ্যমে বোঝা যায় এই কার্ড কোন সংস্থার দ্বারা ইস্যু হয়েছে।
প্রথম সংখ্যার পরবর্তী পাঁচটি সংখ্যাকে বলা হয় IIN বা BIN। IIN এর পুরো অর্থ হলো ইস্যুয়ার আইডেন্টিফিকেশন নম্বর। আর BIN এর পুরো অর্থ হলো ব্যাঙ্ক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর। এই নম্বরগুলির মাধ্যমে বোঝা যায় কোন সংস্থা ওই ডেবিট কার্ড অথবা ক্রেডিট কার্ডের পরিষেবা প্রদান করছে।
৭ থেকে ১৫ পর্যন্ত থাকা নম্বর সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত। এগুলি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য না হলেও গ্রাহকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বরের সঙ্গে যুক্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অন্যদিকে কার্ডের শেষ নম্বর অর্থাৎ ১৬তম নম্বরটি কার্ডের বৈধতার বিষয়ে জানিয়ে থাকে। এই সংখ্যাটিকে চেক সাম ডিজিট বলা হয়। এই সকল বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে স্পষ্ট ডেবিট কার্ড অথবা ক্রেডিট কার্ডে থাকা ১৬ ডিজিটের নম্বর গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য পরিবহন করে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ক্রেডিট কার্ড এবং ডেবিট কার্ড নিয়ে আমাদের আরও অনেক বেশি সচেতন হতে হবে।