Know the name of First Railway Junction of West Bengal: ভারতের পরিবহন মাধ্যমগুলির মধ্যে অন্যতম মাধ্যম হলো রেল পরিবহন। যার উপর নির্ভর করে নিত্যদিন যাতায়াত করে দেশের কোটি কোটি মানুষ। এতে খরচ যেমন কম তেমনি ভ্রমণও আরামদায়ক। দূর ভ্রমণের জন্য অনেকেই এই ট্রেন পথকেই বেছে নেন। তবে নিত্যদিন ট্রেনে যাতায়াত করলেও এমন ট্রেন সম্পর্কিত কিছু বিষয় রয়েছে যা ৯০ শতাংশ মানুষের কাছে অজানা। তেমনি একটি বিষয় হল দক্ষিণবঙ্গের প্রথম রেল জংশন (First Railway Junction)। জানা আছে দক্ষিণবঙ্গের সবচেয়ে পুরনো রেল জংশন-এর নাম?
শুনে অনেকেই হয়তো বলবেন হাওড়া কিংবা শিয়ালদহ। কিন্তু না, বাংলার প্রাচীন রেল জংশন হাওড়া অথবা শিয়ালদহ নয়। এই রেল জংশন (First Railway Junction) অবস্থিত বর্ধমানে। যা বর্ধমানবাসীর কাছে অত্যন্ত গর্বের বিষয়। সাম্প্রতিক সময়ে এই রেল জংশন দিয়ে অতিক্রম করে বহু এক্সপ্রেস ট্রেন, যেমন হাওড়া-জয়নগর এক্সপ্রেস, বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার, হাওড়া-মোকামা এক্সপ্রেস, শিয়ালদহ-গোড্ডা মেমু স্পেশাল। এছাড়াও এই রেল জংশনে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন স্টপেজ দেয়। ধরতে পারছেন কোন রেলস্টেশনের কথা বলা হচ্ছে?
দক্ষিণবঙ্গের এই প্রাচীন রেল স্টেশনের নাম হলো খানা রেল জংশন (First Railway Junction)। যা বর্ধমান জেলার পূর্ব বর্ধমানে অবস্থিত। অনেকেই হয়তো এই প্রথম এই রেল জংশনের নাম শুনেছেন। কিন্তু এই জংশন আজকের নয়। সময়কাল বলছে দক্ষিণবঙ্গের সবচেয়ে পুরনো রেল জংশন হল খানা রেল জংশন।
সময়কাল অনুযায়ী, উনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে বাংলায় কয়লা ব্যবসা শুরু করেছিল ইংরেজ সরকার। সেই সময় কয়লা ব্যবসায় চোখে সরষে ফুল দেখেছিল ব্রিটিশ সরকার। এত পরিমান লাভ হয়েছিল যে ব্যবসা বৃদ্ধি করতে কলকাতা-হুগলি সংযোগ স্থাপনের জন্য একটি রেলপথ তৈরি করেছিল। যা রানীগঞ্জ পর্যন্ত পৌঁছে যেত। সেই সময়টা ছিল ১৮৫৫ সাল।
ঠিক তার ৪ বছরের মাথায় অর্থাৎ ১৮৫৯ সালে এই লাইনটি হাওড়া-দিল্লির মেন লাইন হিসেবে স্বীকৃতি পায়। ঠিক সেই সময়েই প্রাচীন রেল জংশনের তকমা দেওয়া হয় খানা রেল জংশনকে (First Railway Junction)। শুরু হয় খানা জংশন টু রাজমহল লাইন তৈরীর কাজ। পরবর্তীকালে ১৮৬৬ সালে কলকাতার সাথে দিল্লির সরাসরি সংযোগ স্থাপন করে এই লাইন। KAN হলো এই রেল স্টেশনের কোড। বর্তমানে পূর্ব রেল এই জংশনের পরিচালনা করছেন।