Post Office Scheme: টাকা জমা রাখার নিয়মে বদল, পোস্ট অফিসের এই ৪ স্কিমে বড় পরিবর্তন

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : নিজেদের কষ্টার্জিত টাকা পয়সা জমা রাখার ক্ষেত্রে বহুদিন ধরেই পোস্ট অফিসের (Post Office) উপর অনেক বেশি ভরসা দেশের মানুষদের। ব্যাঙ্ক অথবা অন্য কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে টাকা পয়সা জমা রাখার ক্ষেত্রে যেসব সুবিধা পাওয়া যায় তার থেকে কিছুটা হলেও বেশি সুবিধা পাওয়া যায় পোস্ট অফিসের বিভিন্ন স্কিমে। এছাড়াও পোস্ট অফিসের স্কিমগুলি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে করে দেশের নিম্নবিত্ত থেকে শুরু করে উচ্চবিত্তরা সকলেই সুবিধা পান।

Advertisements

পোস্ট অফিসের বিভিন্ন স্কিম রয়েছে যেগুলিতে নামমাত্র টাকা থেকেই সেভিংস করা যায়। আবার সেই সকল স্কিমে চাইলে লক্ষ লক্ষ টাকাও রাখতে পারেন গ্রাহকরা। ভারতীয় ডাক বিভাগের তরফ থেকে যে সকল স্কিম চালু করা হয়েছে এবং তাদের মধ্যে যেগুলি অত্যন্ত জনপ্রিয় সেগুলি হল পোস্ট অফিস সেভিংস অ্যাকাউন্ট, ন্যাশনাল সেভিংস ডিপোজিট রেকারিং অ্যাকাউন্ট, সিনিয়র সিটিজেনস সেভিংস স্কিম অ্যাকাউন্ট, পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্ট, সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা, ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট, কিষাণ বিকাশ পত্র, মহিলা সম্মান সেভিংস সার্টিফিকেট ইত্যাদি।

Advertisements

এইসব স্কিমের মধ্যে সেভিংসের ক্ষেত্রে নতুন সংযোজন হয়েছে মহিলা সম্মান সেভিংস সার্টিফিকেট। ২০২৩ সালে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে এই স্কিম শুরু করা হয়। এই প্রকল্পের আওতায় বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সেভিংস করার সুযোগ দেওয়া হয়। প্রয়োজনের সময় সেভিংসের অল্প টাকা তোলাও যায়। এই প্রকল্পের আওতায় বার্ষিক ৭.৫% সুদ পেয়ে থাকেন বিনিয়োগকারীরা। এই প্রকল্প বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বড় বদল এনে দিয়েছে।

Advertisements

অন্যান্য যেসব স্কিমের ক্ষেত্রে পরিবর্তন এসেছে তার মধ্যে রয়েছে মান্থলি ইনকাম স্কিম। এই স্কিমে এখন বিনিয়োগকারীরা ব্যক্তিগতভাবে ৪ থেকে ৯ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারবেন। আবার যাদের জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট থাকবে তারা ৯ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারবেন।

আরও পড়ুন ? Kisan Vikas Patra: দেখতে দেখতে টাকা হয়ে যাবে ডবল! পোস্ট অফিসের এই স্কিম অনেকেরই অজানা

একইভাবে সিনিয়র সিটিজেন স্কিমে বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে ১৫ লক্ষ টাকা থেকে করা হয়েছে ৩০ লক্ষ টাকা। এই প্রকল্পের আওতায় যারা সেভিংস করে থাকেন তারা আকর্ষণীয় সুদ পেয়ে থাকেন। আবার সিনিয়র সিটিজেন স্কিমে যে বদল আনা হয়েছে সেই বদল অনুযায়ী ৫৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করতে পারবেন। এছাড়াও সরকারি কর্মচারীদেরও এই স্কিমে বিনিয়োগ করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। তবে এই প্রকল্পে টাকা রেখে যদি এক বছর পূরণ হওয়ার আগেই তুলে নেওয়া হয় তাহলে এক শতাংশ কেটে নেওয়া হবে। আবার যদি কেউ জমা রাখা টাকার মেয়াদ বৃদ্ধি করেন তাহলেও তিনি আগের রেটেই সুদ পাবেন।

কোনদিকে যে সকল বিনিয়োগকারীরা পোস্ট অফিসে কোন ফিক্সড ডিপোজিট করেন এবং তা যদি পাঁচ বছরের জন্য হয়ে থাকে, কিন্তু চার বছরের মধ্যে তুলে নেওয়া হলে সুদ দেওয়া হবে সাধারণ সেভিংস অ্যাকাউন্টের মতো চার শতাংশ।

Advertisements