ভারতের অগ্নি-১ মিসাইলের এত গুণ! শুনেই রাতের ঘুম উড়ল চিন-পাকিস্তানের!

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : গত কয়েক বছর ধরে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Ministry of Defence) দিনের পর দিন যেভাবে উন্নয়ন করে চলেছে তাতে রীতিমত প্রতিবেশী দেশগুলির রাতের ঘুম উধাও হয়ে যাচ্ছে। দিন দিন ভারত (India) নিরাপত্তা ক্ষেত্রে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করে চলেছে। এখন বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতকে প্রতিরক্ষার বিষয়ে ভাবনা-চিন্তা করতে হয় না। বরং এখন ভারত অন্যান্য দেশকে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে শক্তি দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। আর এসবের ক্ষেত্রেই এখন রীতিমতো রাতের ঘুম উড়ছে চিন (China), পাকিস্তানের (Pakistan)।

Advertisements

এই মুহূর্তে ভারতের স্ট্র্যাটেজিক কমান্ড ফোর্সের হাতে এসেছে অগ্নি-১ মিসাইল (Agni1 Missile)। এই মিসাইল অন্যতম সেরা এবং মারাত্মক। গত ৭ ডিসেম্বর উড়িষ্যার এপিজে আব্দুল কালাম আজাদ দ্বীপে এই মিসাইলের সফল পরীক্ষা করা হয়। এটি ছিল একটি প্রশিক্ষণ লঞ্চ অর্থাৎ কমান্ড বাহিনীর নতুন সেনাদের প্রশিক্ষণের জন্য লঞ্চ করা হয়েছিল। উৎক্ষেপণের পর এই মিসাইল একেবারে নিখুঁতভাবে লক্ষ্যে পৌঁছায় অর্থাৎ লক্ষ্যভেদ করে। পাশাপাশি এটি অ্যাভিওনিক্স থেকে শুরু করে গতি, পরিসর এবং ইলেকট্রনিক্সের মান সফলভাবে পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে।

Advertisements

ভারতের এই মিসাইল তৈরি করা হয়েছে দেশীয় প্রযুক্তিতে ইন্টিগ্রেটেড গাইডেড মিসাইল ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রামের অধীনে। এটি হলো স্বল্প থেকে মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। এটিকে স্বল্প থেকে মাঝারি পরিসরে ব্যবহার এবং ছোড়া যেতে পারে। এই মিসাইল সিঙ্গেল ফেজ মিসাইল এবং এটি তৈরি করা হয়েছিল কারগিল যুদ্ধের পর। এই মিসাইল ২৫০ কিলোমিটার থেকে ২৫০০ কিলোমিটারের মধ্যে ব্যবধান পূরণ করতে পারে। এর পাশাপাশি বর্তমানে দেশে ৭৫ টির বেশি লঞ্চার মোতায়েন করা হয়েছে। যদিও সেগুলি কোথায় এবং কোন অবস্থানে তা জানানো হয়নি।

Advertisements

আরও পড়ুন ? রতন টাটার বড় পরিকল্পনা! চিনের লাফালাফি বন্ধ করতে ঢালছেন ৪০ হাজার কোটি টাকা

অগ্নি-১ মিসাইলের সবচেয়ে বড় বিশেষত্ব হলো দেশের যেকোনো জায়গা থেকে একটি লঞ্চ করা যেতে পারে। কারণ এর লঞ্চ করার পদ্ধতি অনেক সহজ। এছাড়াও এই মিসাইলের দুটি ভেরিয়ান্ট আনা হয়েছে। একটি হলো অগ্নি-১ এবং অন্যটি অগ্নি-১ পি। এমন ব্যবস্থা গ্রহণের কারণ হলো যাতে করে আরও দ্রুতগতিতে এবং নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্তুর ওপর আঘাত হানা যায়।

অগ্নি-১ মিসাইলের মধ্যে ৬ ধরনের বিস্ফোরক ব্যবহার করা যাবে। ব্যবহার করা যাবে উচ্চ বিস্ফোরক ইউনিটারি, পেনিট্রেশন, ক্লাস্টার মিউনিশন, ইনসেনডিয়ারি, থার্মোবারিক এবং পারমাণবিক অস্ত্র। অর্থাৎ এই মিসাইল ব্যবহার করে শত্রুপক্ষকে বিভিন্ন ধরনের বিস্ফোরক দিয়ে আক্রমণ করা সম্ভব। সূত্র মারফত যা জানা যাচ্ছে তাতে এই মিসাইলের এক-একটির দাম ২৫ থেকে ৩৫ কোটি টাকা।

Advertisements