নিজস্ব প্রতিবেদন : ঠিক কত বছর ধরে সিউড়ি থেকে বোলপুর যাওয়ার রাস্তায় হাটজানবাজার রেল ওভার ব্রিজ (Hatjanbazar Rail Over Bridge) নির্মাণের কাজ বন্ধ রয়েছে তা স্থানীয়রাও প্রায় ভুলতে বসেছেন। যতদূর মনে পড়ে এখানকার এই রেল ওভারব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসের শেষের দিকে। কিন্তু এরপর একাধিক বার কাজ বন্ধ এবং শুরু হলেও তা এখনো শেষ হয়নি। তবে এবার এই রেল ওভারব্রিজ নির্মাণ ঘিরে আসার আলো দেখছেন স্থানীয়রা, কেননা এই কাজ কবে শেষ হওয়ার দিন এবার সামনে এসেছে।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, এখানে একাধিকবার বিভিন্ন সংস্থা রেল ওভারব্রিজ নির্মাণের কাজের দায়িত্ব নেয়। কিন্তু বিভিন্ন কারণে তারা সেই নির্মাণ কাজ শেষ না করেই পালিয়ে যায়। এমনকি এই রেল ওভারব্রিজ নির্মাণ নিয়ে একটি মামলা হয় আদালতে। সেই মামলা শেষে এখন নতুন সংস্থা অর্ধনির্মিত এই রেল ওভারব্রিজ নির্মাণের কাজ শেষ করার দায়িত্ব নিয়েছে। ইতিমধ্যেই সেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
কবে কাজ শেষ হবে সেই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা জগন্নাথ চ্যাটার্জী জানিয়েছেন, “নবরাত্রির চতুর্থীর দিন থেকে পুজো অর্চনার মধ্য দিয়ে এই রেল ওভারে ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে দুর্গাপুজোর সময় শ্রমিক সংক্রান্ত কিছু সমস্যা থাকার কারণে পুরোদমে কাজ এখনই হচ্ছে না। দুর্গা পুজো মিটে গেলেই শ্রমিক সমস্যা মিটে যাবে এবং পুরোদমে কাজ শুরু হয়ে যাবে। এই রেল ওভার ব্রিজ নির্মাণের ক্ষেত্রে স্থানীয় সমস্যার কারণে তিন তিনটি ঠিকাদারকে পালিয়ে যেতে হয়। তবে এবার কাজ শেষ হবেই।”
এর পাশাপাশি জগন্নাথ চ্যাটার্জি দাবি করেছেন, “এই রেল ওভার ব্রিজ নির্মাণের কাজ পুরোপুরি রেলওয়ের প্রজেক্ট। এখানে রাজ্য সরকারের কোন ভূমিকা নেই। যদিও বা আগে ছিল এখন আর কোন ভূমিকাই নেই। এই রেল ওভার ব্রিজ নির্মাণের জন্য ১০ মাস সময় দেওয়া হয়েছে। তবে যারা কাজের দায়িত্ব নিয়েছেন তারা সবার সামনেই জানিয়েছেন, ৬ মাসের মধ্যেই তারা কাজ শেষ করে দেবেন।”
যদিও এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল নেতা মলয় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “রেল কেন্দ্র সরকারের প্রজেক্ট এটা আমরা অনেকদিন ধরেই জানতাম এবং তারা মানুষের জন্য কাজ করে মানুষের সমস্যা সমাধান করবে এটাই কাম্য। কিন্তু এতদিন ধরে হাটজানবাজার রেল ওভারব্রিজ নিয়ে টালবাহানা চালাচ্ছে বিজেপি। রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যই তারা বীরভূম এবং বাংলার মানুষদের বিভিন্ন দিক দিয়ে বঞ্চিত করছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের দল এবং সাংসদ বারবার প্রশ্ন করলেও কোন কাজ হয়নি। শেষ পর্যন্ত মানুষের চাপে, শতাব্দী রায়ের চাপে আজ কেন্দ্র সরকার বাধ্য হয়েছে নতুন করে এই কাজ চালু করতে। আমরাও অনেকদিন আগে থেকে জানি পুজোর মুখে এই কাজ শুরু হবে।”