নিজস্ব প্রতিবেদন : পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে এখনো পর্যন্ত সব কটি লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী দিতে পারেনি বিজেপি। দফায় দফায় তাদের তরফ থেকে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হচ্ছে। শনিবার বিজেপির তরফ থেকে নতুন করে একটি প্রার্থী তালিকা (BJP New Candidates List) ঘোষণা করা হলো। যে প্রার্থী তালিকায় বীরভূম লোকসভা কেন্দ্র এবং ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী ঘোষণা করা হলো।
শনিবার বিজেপির তরফ থেকে নতুন যে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হলো সেই প্রার্থী তালিকায় বীরভূম এবং ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হলেও এখনো বাকি রইল ডায়মন্ড হারবার এবং আসানসোল। ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক ব্যানার্জির বিরুদ্ধে এখনো পর্যন্ত কারো নাম বিজেপির তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়নি। অন্যদিকে আসানসোলে শত্রুঘ্ন সিনহার বিরুদ্ধে আগেই পবন সিংয়ের নাম ঘোষণা করা হলেও তিনি আবার ওই কেন্দ্র থেকে লড়তে চান না।
নতুন এই প্রার্থী তালিকা অনুযায়ী বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী হলেন প্রাক্তন আইপিএস অফিসার দেবাশীষ ধর এবং ঝাড়গ্রামের প্রার্থী হলেন ডাঃ প্রণত টুডু। দেবাশীষ ধর এবং ডাঃ প্রণত টুডুকে নিয়ে প্রথম থেকেই জল্পনা চলছিল। এমনকি তাদের দুজনকে বীরভূম ও ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্র থেকেই প্রার্থী করা হবে এমনটাই বেশ কয়েকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল। অবশেষে শনিবার কেন্দ্রীয় বিজেপির তরফ থেকে সেই জল্পনাতেই সিলমোহর দিয়ে তাদের নাম ঘোষণা করা হলো।
আরও পড়ুন ? Pawan Singh vs Babul Supriyo: ২৭ দিন পর এলো উত্তর! বাবুল সুপ্রিয়কে চাপে ফেলে দিলেন পবন সিং
দেবাশীষ ধর অর্থাৎ যিনি এবার বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ শতাব্দী রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি বাংলার মানুষদের কাছে আগেই একটি ঘটনার কারণে পরিচিত। তিনি গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় শিরোনামে এসেছিলেন। গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় তিনি কোচবিহারের পুলিশ সুপার ছিলেন। যে নির্বাচনে শীতলকুচিতে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। সেই সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানোর যে ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন তিনি তা পছন্দ ছিল না রাজ্য সরকারের বলেই জানা যায়। এরপরই তাকে সাসপেন্ড করেছিল রাজ্য সরকার। তিনি ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্যাডারের ২০১০ ব্যাচের একজন আইপিএস অফিসার ছিলেন।
অন্যদিকে বিজেপির তরফ থেকে ঝাড়গ্রামের প্রার্থী হিসেবে যাকে বেছে নেওয়া হল তিনি হলেন একজন চিকিৎসক। তিনি ঝাড়গ্রাম মেডিকেল কলেজের রেডিওলজি বিভাগের চিকিৎসক ছিলেন। তবে তিনি যে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তা নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই জল্পনা চলছিল। সেই জল্পনা মতোই ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তিনি চাকরি থেকে ইস্তাফা দেয়। আর শনিবার তার নাম ঘোষণা করল বিজেপি।