নিজস্ব প্রতিবেদন : আর মাত্র কয়েক মাস তারপরেই লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024)। লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ইতিমধ্যেই শাসক দল বিজেপি থেকে শুরু করে বিরোধীরা গুটি সাজাতে শুরু করেছে। শাসক দল হিসাবে কিছুটা হলেও প্রস্তুতিতে অ্যাডভান্টেজ রয়েছে বিজেপি (BJP)। দেশের পাশাপাশি বঙ্গ বিজেপির (BJP WB) তরফ থেকেও এই অ্যাডভান্টেজকে কাজে লাগানো হচ্ছে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাংলার বিজেপি নেতারা কে কোন কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তা নিয়ে একটি খসড়া তালিকা তৈরি করা হয়েছে, বলে জানা যাচ্ছে।
বঙ্গ বিজেপির তরফ থেকে যে খসড়া তালিকা তৈরি করা হয়েছে তাতে একাধিক চমক লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্তমান একাধিক সাংসদের কেন্দ্র বদলে যাবে বলে জানা যাচ্ছে সেই খসড়া তালিকা থেকে। খসড়া প্রার্থী তালিকায় যা দেখা যাচ্ছে তাতে কেন্দ্র বদলাতে পারে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। তার থেকেও বড় চমক হল, প্রার্থী তালিকায় জায়গা পেতে চলেছেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। খসড়া প্রার্থী তালিকা অনুযায়ী যদি মিঠুন চক্রবর্তী ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তাহলে ঘরের ছেলে মিঠুনকে এই প্রথম ভোটের ময়দানে দেখা যাবে।
সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা হিসাবে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে দেখা যেতে পারে নিজের কেন্দ্র ছেড়ে অভিষেক ব্যানার্জির ডায়মন্ড হারবারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে। আবার দিলীপ ঘোষের কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন অভিনেত্রী অঞ্জনা বসু। তবে দিলীপ ঘোষ মেদিনীপুর ছেড়ে অন্য কোথাও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য রাজি নন বলে জানিয়েছেন। প্রার্থী তালিকা নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সবুজ সংকেত না মিললেও জানা যাচ্ছে, মিঠুন চক্রবর্তী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে করবেন যাদবপুর কেন্দ্র থেকে।
আরও পড়ুন ? বাদ ৭ সাংসদ! দাঁড়াবেন ৬ বিধায়ক! ২৪-এর লোকসভায় বাংলায় কারা পাবেন বিজেপির টিকিট
এছাড়াও গতবারের জয়ী সাংসদদের মধ্যে তিন থেকে চারজন এবার টিকিট নাও পেতে পারেন। এই তালিকায় রয়েছেন বর্ধমান দুর্গাপুরের সাংসদ এসএস আলুওয়ালিয়া। বাদ যেতে পারেন খগেন মুর্মু, জগন্নাথ সরকারের মত সাংসদরাও। পাশাপাশি সুভাষ সরকারের টিকিট পাওয়ার নিয়েও সংশয় রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাকিরা কোন কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তা খসড়া প্রার্থী তালিকা থেকে যা জানা যাচ্ছে চলুন দেখে নেওয়া যাক।
কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন নিশীথ প্রামাণিক ও জন বার্লা, জলপাইগুড়ি থেকে জয়ন্ত রায়, রায়গঞ্জ থেকে দেবশ্রী চৌধুরী, দার্জিলিং থেকে সম্ভবত রাজু বিস্তা, বালুরঘাট থেকে সুকান্ত মজুমদার। মালদহ উত্তর ও দক্ষিণ এই দুই কেন্দ্রের প্রার্থী নিয়ে এখনো কারোর নাম উঠে আসেনি বলেও সূত্রের খবর। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থেকে শুভেন্দু অধিকারী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন বলে মনে করা হলেও বিকল্প হিসাবে তার ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর নাম উঠে আসছে। দল বদলে তমলুক থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন দিব্যেন্দু অধিকারী। ঘাটালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন ভারতী ঘোষ। ঝাড়গ্রামে আগের মতই টিকিট পেতে পারেন কুনার হেমব্রম। এবার ভোটে দাঁড়াতে পারেন রুপা গঙ্গোপাধ্যায় এবং তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন বারাসাত থেকে। রুপা গঙ্গোপাধ্যায় রাজি না হলে প্রতিদ্বন্দিতা করতে পারেন অধ্যাপক বিমল শঙ্কর নন্দ। হুগলির পরিবর্তে এবার বাঁকুড়া থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। টিকিট পেতে চলেছেন সৌমিত্র খাঁ, জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতো। বর্ধমান দুর্গাপুর এবং আসানসোল কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন যথাক্রমে কেয়া ঘোষ ও অগ্নিমিত্রা পল। বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে গতবারের মতো এবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন দুধকুমার মন্ডল। বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রে কে প্রতিদ্বন্দিতা করতে পারেন তা নিয়ে এখন কিছু জানা যায়নি। এছাড়াও আরও নতুন পুরানো মুখ মিলিয়ে এবার চমক দিতে চলেছে বিজেপি বলেই মনে করা হচ্ছে খসড়া প্রার্থী তালিকা থেকে।