56 J Rules Details: কাজে ফাঁকি দিলেই সরকারি কর্মচারীদের ওপর 56 J প্রয়োগের হুঁশিয়ারি মমতার! কি এই আইন?

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : কেন্দ্র সরকারের সরকারি কর্মচারী এবং বেশ কিছু রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীদের DA-র ফারাক বিশাল। ৩৬ শতাংশ DA কম পান রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন চালাচ্ছেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের এমন আন্দোলনের মাঝেই এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া হুঁশিয়ারি।

Advertisements

রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের নাছোড়বান্দা অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাফ অ্যান্ড টাফ। তিনি এবার হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন, যদি কোন রাজ্য সরকারি কর্মচারীর কাজে কোনরকম গাফিলতি অথবা মানুষ পরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে অসুবিধায় পড়লে সংশ্লিষ্ট কর্মচারী বা কর্তার বিরুদ্ধে 56 J ধারা প্রয়োগ করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, 56 J ধারা প্রয়োগ করতে হবে এবং তারপর যা হয় তা তিনি দেখে নেবেন।

Advertisements

এখন প্রশ্ন হল এই 56 J ধারা কি? সরকারি কর্মচারীদের কাজের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে যদি কোন সরকারি কর্মচারীর কাজ অসন্তোষজনক হয় তাহলে সেন্ট্রাল সিভিল সার্ভিসের নিয়ম অনুসারে 56 J ধারা অনুযায়ী তাকে স্বেচ্ছাবাসরে যেতে বলা হয়। এই ধরনের ধারা কোন কর্মীর উপর প্রয়োগ করা হলে সেই কর্মীর সার্ভিস ব্রেক থেকে শুরু করে অবসরকালীন সুযোগ সুবিধা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

Advertisements

আরও পড়ুন ? Leave for government Employees: ২৪-এ রাজ্য সরকারী কর্মীদের দেড় মাস ছুটি! তালিকা দেখে এখন থেকেই করে ফেলুন ঘোরার প্ল্যান

সরকারের এই ধারা যেমন খুব কঠিন ঠিক সেই রকমই আবার এই ধারায় যাওয়ার ক্ষেত্রেও বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। জনগণের স্বার্থের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে তবেই সরকারের তরফ থেকে কোন সরকারি কর্মচারীকে FR 56 (j) , FR 56 (I) অথবা 48 ধারা অনুযায়ী অবসর নিতে বাধ্য করাতে পারেন। 56 (j) ধারায় বলা হয়েছে, এই ধরনের ঘটনায় কোনো কর্মীকে স্বেচ্ছাবাসর নিতে বলা হলে তাকে তিন মাস আগে নোটিশ দিতে হবে অথবা তিন মাসের বেতন দিয়ে দেওয়া যেতে পারে।

তবে এই নিয়ম পশ্চিমবঙ্গে চালু হবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। যদি এই নিয়ম চালু করতে হয় তাহলে ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্ভিস রুলে পরিবর্তন আনতে হবে। আর এই পরিবর্তন আনা এত সহজ হবে না বলেও মনে করছেন অনেকেই। এই ধরনের নিয়ম আনা সময়সাপেক্ষ। এছাড়াও এই ধরনের নিয়ম আনা হলে তা অনেক ক্ষেত্রে ভুল প্রয়োগ করা হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মূলত বিভিন্ন দপ্তরে হানা দিয়ে সেখানে কর্মীদের অনুপস্থিতি দেখে।

Advertisements