নিজস্ব প্রতিবেদন : চাঁদের (Moon) মাটিতে কোন দেশের প্রতিপত্তি সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পাবে তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে স্নায়ুর লড়াই। এই লড়াইয়ে আমেরিকা, চীন, রাশিয়ার মতো দেশগুলি অনেকটা এগিয়ে থাকলেও এবার সেখানে নিজেদের প্রতিপত্তি স্থাপন করতে শুরু করেছে নতুন নতুন দেশ। এই তালিকায় এবার উঠে এসেছে ভারতের নাম, আর নতুন করে নাম তুলতে চলেছে জাপান (Japan)। জাপানের এমন প্রতিপত্তি বৃদ্ধি চীনকে টক্কর দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
বিশ্বের পঞ্চম দেশ হিসাবে এবার চাঁদের মাটিতে অবতরণ করতে চলেছে জাপানের মহাকাশযান মুন স্নাইপার (Moon Sniper)। শুক্রবার এই অবতরণের পরিকল্পনা রয়েছে এবং এই অবতরণ সফলভাবে হয়ে গেলেই জাপান নতুন অধ্যায় লিখবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। জাপানের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী চীন এমন মহাকাশ গবেষণায় জাপানকে বারবার ব্যাগরা দিলেও শেষমেষ আমেরিকার সহযোগিতায় নিজেদের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে জাক্সার মহাকাশযানটি।
জাপানের এই মহাকাশযানের নাম কেন মুন স্নাইপার রাখা হয়েছে? এমন নামের পিছনে রয়েছে এর লক্ষ্য ভেদ করার পরিকল্পনা। স্নাইপার রাইফেলের গুলির মতো নিখুঁতভাবে জাপানের এই মহাকাশযান লক্ষভেদ করবে। বিজ্ঞানীদের এমন আশার পরিপ্রেক্ষিতেই এমন নাম রাখা হয়েছে। চাঁদের মাটিতে লক্ষ্যবস্তুর ১০০ মিটারের মধ্যে অবতরণ করবে জাপানের মুন স্নাইপার।
আরও পড়ুন ? চাঁদে অবতরণের আগে দুর্দান্ত কারনামা দেখিয়েছিল বিক্রম! সামনে এলো ৬৫ দিন পর
জাপানের এই মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল ২০২৩ সালে। চতুর্থ দেশ হিসাবে গত বছর ভারত চাঁদের মাটিতে সফলভাবে অবতরণ করার ঠিক কয়েকদিন পরই দক্ষিণ জাপানের তানাগাশিমা মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে এর উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। এরপর এখন তার লক্ষ্যভেদের পালা। চাঁদের মাটিতে অবতরণ করার জন্য জাপানের এই মহাকাশযানের সময় লাগছে প্রায় পাঁচ মাস।
আমেরিকার হাত ধরে জাপান মহাকাশ গবেষণায় এগিয়ে যেতে চায়। এমনকি নাসার যে আর্টেমিস প্রোগ্রাম রয়েছে সেই প্রোগ্রামের মধ্য দিয়ে জাপানের একজন মহাকাশচারীকে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তবে মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে তাদের নানান ধরনের পরিকল্পনা থাকলেও বারবার বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে পার হতে হচ্ছে। বিভিন্ন সময় ব্যর্থতা এসেছে। এমন কি চাঁদে পাড়ি দেওয়ার ক্ষেত্রেও তিনবার তাদের বিলম্ব হয়েছে। অবশেষে নিজস্ব প্রযুক্তিতে h2 রকেটে ভর করে চাঁদের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছিল মুন স্নাইপার।