নিজস্ব প্রতিবেদন : বর্তমান সময়ে দেশের অধিকাংশ মানুষ তাদের কষ্টার্জিত টাকা ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় (Savings) করে রাখেন। বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে শুরু করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন স্কিমে এই সকল টাকা সঞ্চয় করে রাখা হয়। সঞ্চয় করার ক্ষেত্রে সবার আগে যার দিকে নজর দেওয়া হয় তা হল সুদ। অর্থাৎ যেখানে বেশি সুদ পাওয়া যায় সেখানেই বিনিয়োগকারীরা সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করতে পছন্দ করেন।
অন্যদিকে সুদের পাশাপাশি আরও একটি বিষয়ে সব নজর দেওয়া হয় তা হলো সুরক্ষা। কেননা দেশের অধিকাংশ মানুষেরই এই সকল স্কিমে সঞ্চয় করা টাকা অত্যন্ত কষ্ট করে রোজগার করা। এই দুটি দিকের বিচার করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা বাড়ছে পোস্ট অফিসের (Post Office)। সরকারি এই আর্থিক প্রতিষ্ঠান এখন বিভিন্ন স্কিম চালু করে নিজেদের জনপ্রিয়তা আরও কয়েকগুণ বৃদ্ধি করে ফেলেছে।
ঠিক সেই রকমই পোস্ট অফিসের একটি স্কিম সেভিংসের জামানায় সমস্ত হিসেব-নিকেশ বদলে দিচ্ছে। কারণ এই স্কিমটিতে বিনিয়োগকারীদের প্রায় ৮% পর্যন্ত সুদ দেওয়া হচ্ছে। বিপুল পরিমাণ এই সুদের পাশাপাশি রয়েছে নিরাপত্তা। এর পাশাপাশি অ্যাকাউন্ট খোলার পর প্রতি মাসে এই স্কিম থেকে রোজগার করার সুযোগ রয়েছে। সচরাচর এই ধরনের স্কিমে কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান এমন বিপুল পরিমাণ সুদ এবং নিরাপত্তার গ্যারান্টি দিতে পারেনা।
পোস্ট অফিসের যে স্কিমটির কথা বলা হচ্ছে সেটি হল মান্থলি ইনকাম স্কিম। পোস্ট অফিসের এই স্কিমে একবার টাকা বিনিয়োগ করে প্রতি মাসে মাসে মোটা টাকা রোজগার করা যেতে পারে। এই প্রকল্পের আওতায় প্রতিমাসে ৯২৫০ টাকা পর্যন্ত মিলতে পারে। এই স্কিমে এককভাবে অথবা যৌথভাবে অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। এক্ষেত্রে পোস্ট অফিসের তরফ থেকে বার্ষিক ৭.৮০ শতাংশ সুদ দেওয়া হয়ে থাকে।
এককভাবে বিনিয়োগ করলে ৯ লক্ষ টাকা এবং যৌথভাবে বিনিয়োগ করলে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করা যায়। এই প্রকল্পের মেয়াদ সর্বোচ্চ পাঁচ বছর। তবে কেউ চাইলে আবার তার মেয়াদ বৃদ্ধি করতে পারেন পরবর্তী ৫-৫ বছরের জন্য। এই প্রকল্পে টাকা বিনিয়োগ করার পর বার্ষিক সুদের হিসেব অনুযায়ী বছরে ১ লক্ষ ১১ হাজার টাকা সুদ পাওয়া যায়। আবার বিনিয়োগ করার পর কোন ক্ষেত্রে অসুবিধা হলে বিনিয়োগকারীরা এক বছর পর সেই টাকা তুলে নিতে পারবেন। তবে এক বছর থেকে তিন বছরের মধ্যে তোলা হলে সেক্ষেত্রে ২ শতাংশ এবং তিন বছর পর তোলা হলে ১ শতাংশ কেটে নেওয়া হয়।