নিজস্ব প্রতিবেদন : হলুদ ধাতু অর্থাৎ সোনার (Gold) প্রতি আকর্ষণ নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আবার বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতীয়দের মধ্যে সোনার প্রতি আকর্ষণ যেন কিছুটা হলেও বেশি। বিভিন্ন সময় সোনার অলংকার থেকে শুরু করে নানান ধরনের জিনিস বিক্রি হয়ে থাকে ভারতীয় বাজারে। সোনার এমন ব্যাপক চাহিদা থাকার কারণেই সোনার দাম অনেক বেশি হয়ে থাকে।
এমন পরিস্থিতিতে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে একটি স্কিম আনা হয়েছে এবং সেই স্কিমের মাধ্যমে বাজারের থেকে অনেক সস্তায় সোনা বিক্রি করা হয়। কেন্দ্র সরকারের এই স্কিমের আওতায় সোনা কেনার জন্য হাতে অবশ্য খুব কম সময় পাওয়া যায়। কেন্দ্র সরকারের এই স্কিমের নাম Sovereign Gold Bond। এই স্কিমের আওতায় আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সস্তায় সোনা বিক্রি করবে কেন্দ্র।
কেন্দ্রের তরফ থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার মাধ্যমে সার্বভৌম গোল্ড বন্ড স্কিমের মাধ্যমে সোনা বিক্রি করবে। ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের জন্য সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এবার প্রতি গ্রাম সোনার দাম ধার্য করা হয়েছে ৬২৬৩ টাকা। এই দামে ২৪ ক্যারেট মানের সোনা পাওয়া যাবে। রবিবার কলকাতায় ১০ গ্রাম ২৪ ক্যারেট সোনার দাম রয়েছে ৬৪ হাজার ৩৯৫ টাকা। এক্ষেত্রে এক গ্রাম সোনার দাম দাঁড়ায় ৬৪৩৯.৫০ টাকা। সুতরাং বাজারের থেকে ২০০ টাকা কমে পাওয়া যাচ্ছে এক গ্রাম সোনা।
আরও পড়ুন ? Saudi Arab Gold Mines: মাটি খুঁড়লেই তাল তাল সোনা! রাতারাতি বড় লোক ভারতের হাতের কাছের এই দেশ
এর পাশাপাশি যদি কোন বিনিয়োগকারী অনলাইনে সার্বভৌম গোল্ড বন্ডের মাধ্যমে সোনা কিনে বিনিয়োগ করে থাকেন তাহলে প্রতি গ্রামে তিনি আরও ৫০ টাকা ছাড় পান। এই বন্ড চার বছরের জন্য হয়ে থাকে। এছাড়াও বন্ডের উপর ২.৫০ শতাংশ সুদ দেওয়া হয়। আবার মাঝে হঠাৎ টাকার প্রয়োজন হলে গোল্ড বন্ড থেকে লোন নেওয়া যেতে পারে। লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে খুব বেশি সুদ দিতে হয় না।
সার্বভৌম গোল্ড বন্ডের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা স্মল ফাইন্যান্স ব্যাঙ্ক, পেমেন্ট ব্যাঙ্ক, আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্ক, স্টক হোল্ডিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া, ক্লিয়ারিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া, পোস্ট অফিস, ন্যাশনাল ব্যাংক, স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমেও বিনিয়োগ করা যায়। এই প্রকল্পের আওতায় একজন ব্যক্তি ৪ কেজি এবং কোন ট্রাস্ট অথবা সংস্থা ২০ কেজি পর্যন্ত সোনা কিনতে পারবেন।