Saudi Arab Gold Mines: মাটি খুঁড়লেই তাল তাল সোনা! রাতারাতি বড় লোক ভারতের হাতের কাছের এই দেশ

Prosun Kanti Das

Published on:

New gold mines found in Saudi Arabia: পশ্চিমের এই দেশের লক্ষীলাভের আসল কারণ এবার আসলো সর্বসমক্ষে। এই দেশটি বিশ্বের সবথেকে ধনীতম দেশের তালিকায় নিজের স্থান দখল করেছে। এমনিতেই এই দেশে অর্থের কোনরকম অভাব নেই এবং তার ওপরে বাড়তি পাওনা হিসেবে জুটলো এটি (Saudi Arab Gold Mines)। নিশ্চয়ই এতক্ষণে আপনাদের বিস্তারিতভাবে সবকিছু জানতে ইচ্ছা করছে। তাহলে এই প্রতিবেদনটি আপনাকে অবশ্যই মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

বিশ্বের তালিকায় সবথেকে শক্তিশালী এবং ধনীতম দেশের মধ্যে অন্যতম হলো সৌদি আরব। আন্তর্জাতিক বাজারে এই দেশটি যথেষ্ট শক্তিশালী এবং অর্থনৈতিক দিক থেকে মজবুত। এর আসল কারণ কিন্তু খনিজ তেল যা বিক্রি করেই সৌদি আরব (Saudi Arab Gold Mines) আজ এত শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। সৌদি আরবকে ঘিরে তৈরি হয়েছে বহু শিল্প এর আসল কারণ হলো এখানে রয়েছে বিপুল পরিমাণে খনিজ তেল, সোনা এবং খনিজ পদার্থ। যা উত্তোলন করে বিক্রি করে আজকে এত প্রতিপত্তি এই দেশের।

সবথেকে ভালো খবর হলো সৌদি আরবে আবার আবিষ্কৃত হল বড় একটি সোনার খনি (Saudi Arab Gold Mines)। গত বৃহস্পতিবার এই কথা ঘোষণা করেছে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় খনিজ উত্তোলনকারী সংস্থা মাদিন। মক্কায় মনসৌরি মাসারা স্বর্ণখনিতে মাদিন সংস্থার কাজ চলছে। আশ্চর্যজনক ঘটনা হলো সেখানেই ১২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সোনার খনি আবিষ্কার করেছেন খনি শ্রমিক এবং আধিকারিকেরা।

আরও পড়ুন 👉 Golden doors in Ram Mandir: একটি দুটি নয়, এক ডজনের বেশি সোনার দরজা রাম মন্দিরে! জানেন খরচ কত?

বিশেষজ্ঞরা অবশ্য আগেই আন্দাজ করতে পেরেছিল যে, মক্কার মাটির নীচে সোনার বৃহত্তর খনি। ২০২২ সাল থেকে শুরু হয়েছিল সেই খনি খোঁজার কাজ আজকে তা সফলতা পেয়েছে। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সোনার খনি হল মনসৌরি মাসারা স্বর্ণখনি। ২০২৩ সাল পর্যন্ত সেই খনিতে মাটির নীচে অন্তত ১,৯৮৫ টন সোনার কথা জানা গিয়েছে। এই বিখ্যাত সোনার খনির (Saudi Arab Gold Mines) স্বর্ণ উৎপাদন ক্ষমতা বছরে প্রায় ৭,০৮৮ কিলোগ্রাম। প্রত্যেক বছর মাদিন সংস্থা এই বিখ্যাত স্বর্ণ খনি থেকে প্রচুর পরিমাণে স্বর্ণ উত্তোলন করে। নতুন আবিষ্কার হওয়া এই স্বর্ণ খনির ফলে বিদেশী বিনিয়োগ অনেকাংশ বৃদ্ধি পাবে।

একই খনি এলাকায় আরো একটি খনির সন্ধান পাওয়া সত্যিই একটি গুরুত্বপূর্ণ খবর। আরো বেশি পরিমাণে সোনা উত্তোলন করা যাবে এই খনি থেকে। সৌদি আরব শুধুমাত্র খনিজ তেলের জন্য নয়, এই হলুদ ধাতুটির জন্য বিশ্ব দরবারে নিজের একটি বিরাট স্থান কায়েম করবে। বিশ্ব অর্থনীতিতে এই দেশের স্থান হয়ে উঠতে চলেছে অনেকটাই মজবুত। মাদিন সংস্থা জানিয়েছে যে, ২০৩০ সালের মধ্যে স্বর্ণশিল্পকে তাঁরা সৌদির অর্থনীতির তৃতীয় স্তম্ভ হিসাবে গড়ে তুলতে চায়। সৌদি আরবের খনি শিল্পের চেহারা সম্পূর্ণ পরিবর্তন করে দেবে ২০২২ সালে আবিষ্কার হওয়া মদিনা শহরে সোনা এবং তামার খনি। সোনার খনির ফলে দেশে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে এবং বিদেশ থেকেও বহু শ্রমিক এই খনিতে কাজ করতে আসবে।