কেষ্ট পার্থ অর্পিতা চুনোপুটি! বাকিবুরের সম্পত্তি শুনলে হা হয়ে যাবেন

নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যের নেতা-নেত্রী এবং নেতা-নেত্রী ঘনিষ্ঠ যারা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন তাদের সম্পত্তির খতিয়ান ফাঁস হতেই রীতিমতো অবাক হয়ে যাচ্ছেন রাজ্যের বাসিন্দারা। বিভিন্ন দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় থেকে অনুব্রত মণ্ডল প্রত্যেকের সম্পত্তির পরিমাণ কোটি কোটি টাকার। তবে এসবকে হার মানিয়েছেন সম্প্রতি গ্রেপ্তার হওয়ার বাকিবুর (Bakibur Rahaman)। সম্প্রতি তার যে সম্পত্তি সামনে এসেছে তাতে তার সেই সম্পত্তির সামনে চুনোপুটি পার্থ, অর্পিতা, কেষ্টর মতো নেতা ও নেতা ঘনিষ্ঠরা।

বাকিবুর রহমান রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে সম্প্রতি গ্রেপ্তার হয়েছেন ইডির হাতে। তদন্তে নেমে ইডি আধিকারিকরা তার যে পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ পেয়েছেন তাতে রীতিমত তাদের চোখ কপালে উঠেছে। বহুল প্রচলিত কেঁচো খুঁড়তে কেউটেকেও হার মানিয়েছেন বাকিবুর বাবু। তার যে পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে তাতে এই ঘটনা যেন কেঁচো খুঁড়তে অজগর। ইডি আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, তার সম্পত্তির পরিমাণ কয়েকশ কোটি টাকারও বেশি।

বাকিবুর রহমানের এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি কোথায় রয়েছে? বাকিবুর রহমানের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি সম্পর্কে ইডি আধিকারিকরা যা হদিস পেয়েছেন তাতে রীতিমতো একটি গ্রামের সমান জমি রয়েছে তার। যে জমির পরিমাণ ১৬৩২ কাঠা। এই বিপুল পরিমাণ জমির অধিকাংশ অংশ রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা এবং বহরমপুরে। এছাড়াও রাজারহাট, বারাসাত এবং রঘুনাথপুরে একাধিক ফ্ল্যাটের হদিশ পাওয়া গিয়েছে।

ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই বিপুল পরিমাণ জমি রাজ্যের একাধিক জেলার ৯৫ টি জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এই সকল জমির দামি ১০০ কোটি টাকার বেশি বলে অনুমান। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বাকিবুর রহমানের এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হিসেব-নিকেশ খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন। এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির টাকা কি দুর্নীতির টাকা থেকে এসেছে তা নিয়েও তদন্ত চালানো হচ্ছে। কেননা মনে করা হচ্ছে, দুর্নীতির টাকা দিয়েই এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি করেছেন বাকিবুর।

এছাড়াও বাকিবুর রহমান সাড়ে সাত হাজার বর্গফুট আয়তনের অন্ততপক্ষে ৭টি ফ্ল্যাটের মালিক। শুধু দেশে নয়, এর পাশাপাশি তার বিদেশেও রয়েছে ফ্ল্যাট। বাকিবুর রহমানের বিদেশে যে ফ্ল্যাটের কথা বলা হচ্ছে সেগুলি রয়েছে দুবাইয়ে। সেখানে তার নামে রয়েছে দুটি ফ্ল্যাট। যাদের বাজার মূল্য অন্ততপক্ষে ৭ থেকে ১০ কোটি টাকা। কি কারণে বাকিবুর রহমান দেশ ছেড়ে বিদেশেও ফ্ল্যাট কিনেছেন তাও খতিয়ে দিচ্ছে ইডি। প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি বাকিবুর রহমান দেশ ছেড়ে বিদেশ পালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যেই দুবাইয়ে ফ্ল্যাট কিনেছিলেন?