নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দেশজুড়ে জারি হয়ে গিয়েছে মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট। মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট যারই হওয়ার পরই প্রশাসনিক সমস্ত ব্যবস্থার দায়িত্ব চলে গিয়েছে নির্বাচন কমিশনের হাতে। নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পেতেই পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি একাধিক রাজ্যের প্রশাসনিক আধিকারিকদের রদবদল শুরু করে দিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে বীরভূম সহ চার জেলার জেলাশাসকদের বদলি করার নির্দেশ দেয়। বীরভূম সহ চার জেলার জেলাশাসকদের বদলির নির্দেশের পর অবশ্য সঙ্গে সঙ্গে জেলায় কারা জেলাশাসক হয়ে আসবেন সেই নাম ঘোষণা করা হয়নি। অবশেষে শুক্রবার এই চার জেলার নতুন জেলা শাসকদের নাম ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন (District Magistrates Name Announcement)।
ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পর মোড অফ কন্ডাক্ট জারি হতেই প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে রাজ্য পুলিশের ডিজি পরিবর্তন করা হয়। নির্বাচন কমিশন রাজিব কুমারকে সরিয়ে দেয়। এরপরই বৃহস্পতিবার বীরভূমের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি, পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিধান রায়, পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক তনবীর আফজল এবং ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক সুনীল আগারওয়ালকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
আরও পড়ুন ? Bajaj Markets Personal Loan: লোন নিয়ে চিন্তার দিন শেষ! সহজেই টাকার ব্যবস্থা করবে এই সংস্থা
বৃহস্পতিবার এই চার জেলার জেলাশাসকদের সরিয়ে দেওয়ার পর থেকেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল নানান অভিযোগের আঙ্গুল তুলতে শুরু করে বিজেপির দিকে। তাদের তরফ থেকে দাবি করা হয়, বিজেপির অঙ্গুলি হেলনেই নির্বাচন কমিশন চার জেলার জেলা শাসকদের সরিয়ে দিয়েছে। কেননা এই চার জেলার মধ্যে আবার বীরভূম ও পূর্ব বর্ধমানের দুই জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি এবং বিধান রায়কে মাস দুয়েক আগেই বদলি করা হয়েছিল।
নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে চার জেলার জন্য নতুন যে সকল জেলা শাসকদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে তারা হলেন, পূর্ব মেদিনীপুরের জয়শী দাশগুপ্ত, ঝাড়গ্রামের মৌমিতা গোদারা বসু, পূর্ব বর্ধমানের কে রাধিকা আইয়ার এবং বীরভূমের শশাঙ্ক শেঠি। যাদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে তাদের আগামী শনিবার সকাল ১০টার মধ্যে নিজের দায়িত্বভার বুঝে নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।