Maldives vs India: আচমকা ভারত বিরোধী হয়নি মালদ্বীপ! পিছনে রয়েছে বড় উস্কানি

নিজস্ব প্রতিবেদন : সোশ্যাল মিডিয়ার পাশাপাশি এখন দেশজুড়ে শুরু হয়েছে বয়কট মালদ্বীপ (Boycott Maldives)। এইভাবে হঠাৎ মালদ্বীপকে বয়কট করার পিছনে সবাই যা দেখতে পাচ্ছেন তা হল, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সাম্প্রতিককালের লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণ এবং সেখানকার বিভিন্ন ছবি শেয়ার করে একবার লাক্ষাদ্বীপ ঘুরে যাওয়ার আহ্বান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এমন আহ্বানের পরই বিদ্বেষমূলক মন্তব্য শোনা যায় মালদ্বীপের নেতা মন্ত্রীদের থেকে

মালদ্বীপের নেতা-মন্ত্রীরা ভারতের লাক্ষাদ্বীপকে নানান ভাবে ছোট করার চেষ্টা করেছেন তাদের মন্তব্যে। আপেক্ষিক ভাবে অনেকেই মনে করছেন এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই এখন ভারতীয়রা বয়কট করছেন মালদ্বীপ আর ছুটে চলেছেন লাক্ষাদ্বীপের দিকে। কিন্তু তা নয়, মালদ্বীপের ভারত বিরোধী হওয়ার পিছনে রয়েছে অন্য কারণ। যে কারণটির কথা বলা হচ্ছে সেটি আন্তর্জাতিক স্তরে বড় কারণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা।

রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন এর পিছনে থাকতে পারে চীনের উস্কানি অথবা চীনপ্রীতি। হঠাৎ মালদ্বীপের ভারত বিরোধী মন্তব্য এবং মালদ্বীপ ও লাক্ষাদ্বীপের বিতর্কের সূত্রপাতের কারণ জানতে হলে আর কয়েকটা মাস পিছিয়ে যেতে হবে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো ভারতের সঙ্গে মালদ্বীপের এমন দ্বন্দ্বের পিছনে যিনি রয়েছেন তিনি হলেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজু।

আরও পড়ুন 👉 Lakshadweep: মালদ্বীপ অতীত! জেনে নিন কীভাবে সহজেই পৌঁছাবেন লাক্ষাদ্বীপ

গত বছর মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন প্রোগ্রেসিভ পার্টি অফ মলদ্বীপ (PPM) এবং পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস-এর (PNC) জোট প্রোগ্রেসিভ অ্যালায়েন্সের নেতা মহম্মদ মুইজু। তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরই তাদের দেশে থাকা ভারতীয় সেনাদের সরে যেতে নির্দেশ দেন। মালদ্বীপে খুব অল্প সংখ্যক ভারতীয় সেনারা রয়েছেন মূলত নজরদারি থেকে শুরু করে মেডিকেল এমারজেন্সি ইত্যাদির জন্য। মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের তরফ থেকে এমন দাবি করার পর দুই দেশ বৈঠকে বসে এবং মুইজু দাবি করেন, দিল্লি সেনা সরানোর কথা বলেছে।

আসলে ভারতের জন্য ভারত মহাসাগরে প্রভাব বজায় রাখার ক্ষেত্রে মালদ্বীপ গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু মালদ্বীপের কৌশলগত অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে ভারত মহাসাগরে প্রভাব বিস্তারের জন্য ভারতীয় সেনা সরানো থেকে শুরু করে সবকিছুতেই চীনের উস্কানি রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা। কারণ মুইজু একজন চীনপন্থী নেতা এবং তার মধ্যে চরম চীন প্রীতি রয়েছে। আর এসবের কারণেই ভারত সম্পর্কে দিন দিন বিদ্বেষ বাড়ছে মালদ্বীপের।