নিজস্ব প্রতিবেদন : শিরোনামে এখন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। কেননা বৃহস্পতিবার রাতে তাকে আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে এমন পদক্ষেপের পর রাজনৈতিক মহলে নানান প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। এনডিএ-র বিভিন্ন নেতা-নেত্রীরা প্রশ্ন তুলেছেন, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত না থাকলে তিনি কেন এতবার ইডির তলদেশ এড়িয়ে ছিলেন? অন্যদিকে বিরোধীরা দাবি করছেন, গণতন্ত্র বলে কিছু আর রইল না।
তবে নেতা-নেত্রীদের কথা ছাড়লে সাধারণ মানুষদের মধ্যেও এখন অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন রয়েছে। আর সেই সকল প্রশ্নের মধ্যে অন্যতম হলো তার সম্পত্তির পরিমাণ (Arvind Kejriwal Property) কত? মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর তার সম্পত্তি কত বেড়েছে? অরবিন্দ কেজরিওয়াল একজন সরকারি উচ্চপদে কর্মরত ছিলেন এবং তারপরে রাজনীতিতে পা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হন। সেক্ষেত্রে তার শিক্ষাগত যোগ্যতা কতদূর?
অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সম্পত্তি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য পাওয়া যায় নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হলফনামায়। তিনি ২০১৫ সালে এবং ২০২০ সালে নয়া দিল্লি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এক্ষেত্রে পাঁচ বছরের মধ্যে কিন্তু তার সম্পত্তি লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। ২০১৫ এবং ২০২০ সালের হলফনামা দেখলে স্পষ্ট, পাঁচ বছরের মধ্যে তার সম্পত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে ৬৪.১২%। কেননা ২০১৫ সালে তার মোট সম্পত্তি ছিল ২.০৯ কোটি টাকার। ২০২০ সালে সেই সম্পত্তি বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৩.৪৪ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন ? অরবিন্দ কেজরিওয়াল! স্টলে বিক্রি করছেন চাট, শোরগোল নেট দুনিয়ায়
২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময় অরবিন্দ কেজরিওয়াল যে হলফনামা জমা দিয়েছিলেন তাতে উল্লেখ ছিল, তার কাছে মোট স্থাবর সম্পত্তি অর্থাৎ বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ, আমানত, হাতে থাকা নগদ ইত্যাদির মোট পরিমাণ ৯ লক্ষ ৯৫ হাজার ৭৪১ টাকা। ঠিক ওই সময় একই খাতে তার স্ত্রীর কাছে ছিল ৫৭ লক্ষ ৭ হাজার ৯১ টাকা।
অন্যদিকে তার নামে ২০২০ সালে মোট অস্থাবর সম্পত্তি অর্থাৎ জমি জমা বাড়িঘর ইত্যাদি মিলিয়ে পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকা এবং তার স্ত্রীর কাছে ছিল ১ কোটি টাকা। এই সকল সমস্ত কিছু মিলিয়ে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩ কোটি ৪৪ লক্ষ ৪২ হাজার ৮৭০ টাকা ছিল ২০২০ সালে। অন্যদিকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে তিনি যা উল্লেখ করেছেন তাতে, তিনি একজন মেকানিকেল ইঞ্জিনিয়ার (বিটেক) খড়গপুর আইআইটি থেকে।