নিজস্ব প্রতিবেদন : বায়রন বিশ্বাসকে (Bayron Biswas) এই মুহূর্তে রাজ্যের সবচেয়ে বিতর্কিত বিধায়ক হিসাবেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তাকে এমন বিতর্কিত বিধায়ক হিসাবে মনে করার কিছু নেই বেশ কিছু কারণ রয়েছে। প্রথমত, মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘী বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে কংগ্রেস বাম জোট সঙ্গীর হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি তৃণমূলকে পরাস্ত করেন। তার এমন জয় রীতিমতো বিরোধীদের আলাদা অক্সিজেন দিয়েছিল।
তবে জয়লাভের পরই একের পর এক বিতর্কে জড়াতে শুরু করেন বায়রন। নিজের জয়ের আনন্দ ধরে রাখতে না পেরে জয়লাভের কয়েকদিন পরেই এক তৃণমূল নেতাকে অকথ্য ভাষায় তাকে গালিগালাজ করতে শোনা যায়। সেই ভয়েস রেকর্ডিং সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে রীতিমতো বিতর্ক তৈরি করে। এরপর বারবার তার তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়ে জল্পনা শুরু হলেও তিনি কখনোই তৃণমূলে যোগ দেবেন না বলে জানিয়েছেন। তবে আচমকা নিজের এলাকার ছেড়ে ভিন জেলায় গিয়ে অভিষেকের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন।
এবার বিতর্কিত এমন একজন বিধায়কের বাড়িতে বুধবার সাতসকালে হানা দিল আয়কর। বিধায়কের সামশেরগঞ্জের বাড়ি এবং হাসপাতালে বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে এদিন আয়কর বিভাগের আধিকারিকরা হানা দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আয়কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এবং তারই পরিপ্রেক্ষিতে এমন হানা বলে জানা যাচ্ছে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখা ভালো, বায়রন বিশ্বাস কেবলমাত্র একজন বিধায়ক নন, তিনি একজন বড় ব্যবসায়ীও।
আরও পড়ুন ? বালুরও বান্ধবী যোগ! পরের বউকে নিয়ে দার্জিলিংয়ে ফুর্তি! সামনে এলো নতুন নতুন কীর্তি
বায়রন বিশ্বাসের সম্পত্তি সম্পর্কে যে তথ্য পাওয়া যায় সেই তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ, গাড়ি, গয়না ইত্যাদি সবমিলিয়ে ৩ কোটি ৫৩ লক্ষ ১২ হাজার ১৩৮.৭৭ টাকা গচ্ছিত রয়েছে। তার স্ত্রীর নামে রয়েছে ৩ কোটি ৩১ লক্ষ ২৩ হাজার ৪৯৮.৮৭ টাকা। এছাড়াও তার সন্তানদের নামে রয়েছে যথাক্রমে ৩৩ লক্ষ ৯২ হাজার ৬৬৮ টাকা এবং ৩৩ লক্ষ ৮৫ হাজার ৬৯৪ টাকা।
জমি জমা বাড়ি সহ অন্যান্য সম্পদ মিলিয়ে বায়রন বিশ্বাসের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১০ কোটি ৭০ লক্ষ ৫৩ হাজার টাকা। একইভাবে তার স্ত্রীর রয়েছে ১ কোটি ৮৯ লক্ষ ৯৪ হাজার ৭৮৪ টাকা। সন্তানদের নামে সেইরকম কিছু এই ধরনের সম্পত্তি নেই। এছাড়াও তার বাবার নামে অনেক বাড়িঘর রয়েছে যেগুলি এখন তিনিই ব্যবহার করেন বলে জানা যাচ্ছে সূত্র মারফৎ। এছাড়াও বিধায়কের নামে রয়েছে ৩ কোটি ৮৩ লক্ষ ৭ হাজার ১৬৭ টাকার লোন। তার স্ত্রীর নামে থাকা লোনের পরিমাণ ২ লক্ষ ৩১ হাজার ১৯০ টাকা। এই সম্পত্তির হিসেব তিনি নির্বাচন কমিশনকে দিয়েছিলেন ২০২৩ সালের মার্চ মাস নাগাদ যখন তিনি সাগরদিঘী বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন।