বালুরও বান্ধবী যোগ! পরের বউকে নিয়ে দার্জিলিংয়ে ফুর্তি! সামনে এলো নতুন নতুন কীর্তি

নিজস্ব প্রতিবেদন : পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূলের যেসব নেতা-মন্ত্রীরা এখনো পর্যন্ত দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাদের অধিকাংশের ক্ষেত্রেই পাওয়া গিয়েছে কোন না কোন ঘনিষ্ঠ বান্ধবী যোগ। সম্প্রতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick) গ্রেপ্তার হওয়ার পর কানাঘুষো এদিক-ওদিক নানান কথা শোনা গেলেও দাবি-দাওয়া সেই ভাবে উঠছিল না। তবে এবার সত্যি সত্যি বালুরও বান্ধবী যোগ পাওয়া গেল। বালুকে নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য সামনে এনেছেন তৃণমূলেরই এক কাউন্সিলরের স্বামী।

বালুকে নিয়ে যিনি এমন বিস্ফোরক তথ্য সামনে এনেছেন তার স্ত্রীই নাকি বালুর সঙ্গে দার্জিলিঙে ঘুরতে গিয়েছিলেন। ওই তৃণমূল কাউন্সিলর বালুর সঙ্গে আবার সেই সময় ঘুরতে গিয়েছিলেন, যে সময় হার্ট অ্যাটাক হয়ে বিছানায় পড়েছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামী। এমনই বিস্ফোরক সব তথ্য সামনে এনেছেন ওই তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামী। অর্থাৎ স্বামীর অসুস্থতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বালুর সঙ্গে দার্জিলিংয়ে ফুর্তি করতে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।

রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সম্পর্কে এমন বিস্ফোরক তথ্য এনেছেন বিধাননগর পুরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর নন্দিনী বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Nandini Bandyopadhyay) স্বামী জয়ব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় (Joybrata Bandopadhyay)। জয়ব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, এসব ছাড়াও তার স্ত্রী নন্দিনী তার ওপর শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন চালান।

আরও পড়ুন 👉 জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ৩৫টি FD, RD অ্যাকাউন্টের হদিশ! এক একটিতেই রয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা!

জয়ব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ২০১৭ সালে তার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল এবং সেই সময় তিনি কল্যাণীতে থাকা শুরু করেন। সেই সময় তার অনুপস্থিতির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তার স্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। ১৯৯৪ সালে তাদের বিয়ে হয়েছিল এবং তারপর ২০১৭ সালে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন নন্দিনী। তৃণমূলে যোগদান করার পর তাদের বাড়িতে মন্ত্রীর আসা-যাওয়ার কোন হিসেব নেই। রাত এগারোটা, সাড়ে এগারোটা কোন সময় জ্ঞান ছিল না। সব সময় ফোনেও ব্যস্ত।

এছাড়াও আরও বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ তুলেছেন নন্দিনী বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বামী জয়ব্রত বন্দোপাধ্যায়। অন্যদিকে কিভাবে নন্দিনীর সঙ্গে জ্যোতিপ্রিয়র যোগাযোগ হল সেই প্রসঙ্গে ওই ব্যক্তি দাবি করেছেন, মতিঝিলে থাকাকালীন ববি নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে পরিচয় হয়েছিল। ওই ব্যক্তি পৌরসভায় ব্লিচিং পাউডার সাপ্লাই দিতেন। তিনি বারবার বালু ডাকতেন বলে জানাতেন নন্দিনীকে। এর পাশাপাশি নন্দিনী ভট্টাচার্য কাউন্সিলর পরপরই একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন বলে দাবি করেছেন তিনি। কিন্তু এত টাকা কোত্থেকে এলো তা জানেন না। এছাড়াও ফ্ল্যাট কোথায় কেনা হয়েছে তাও এক প্রকার গোপনে ছিল। অনেক খোঁজাখুঁজির পর সেই ফ্ল্যাট পাওয়া যায়। এরই মধ্যে নন্দিনী জয়ব্রতর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। অন্যদিকে এই সকল দাবি দাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে নন্দিনী ভট্টাচার্য বিষয়টিকে সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত বলে উড়িয়ে দিয়েছেন এবং জানিয়েছেন, জয়ব্রতর সঙ্গে তার বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে।