নিজস্ব প্রতিবেদন : গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে বিভিন্ন জায়গার বাসিন্দারা আধার বাতিলের (Aadhaar Deactivation) চিঠি পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে। আধার বাতিলের এমন চিঠিতে শোরগোল পড়ে যাওয়ার মূল কারণ হলো নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা এবং বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়া। কেননা যাদের কাছে এই ধরনের চিঠি এসেছে তারা সেই চিঠি পেয়েছেন ২৮ এ ধারায়।
বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ার পর আধার কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে পরে জানানো হয়, কারো আধার বাতিল করা হয়নি। তবে আধার কর্তৃপক্ষের এমন ঘোষণার আগেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay) এমন অসুবিধায় পড়া মানুষদের সহযোগিতার জন্য একটি পোর্টাল চালু করার ঘোষণা করেছিলেন। এছাড়াও বিকল্প কার্ড দেওয়ার ঘোষণাও করেছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই ঘোষণা অনুযায়ী এবার নবান্নের তরফ থেকে একটি পোর্টাল এবং একটি WhatsApp হেল্পলাইন (Aadhaar Deactivation Helpline) চালু করা হলো। এই দুটি মাধ্যমে যারা এই ধরনের সমস্যায় পড়ছেন তারা তাদের সমস্যার বিষয়ে অভিযোগ জানাতে পারবেন। এছাড়াও রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আধার বাতিলের চিঠি পেলেও খাদ্য সাথী থেকে শুরু করে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অন্য কোন সুবিধা থেকে কেউ বঞ্চিত হবেন না।
আরও পড়ুন ? Aadhaar Deactivation Notice: বাতিল আধার কার্ড, বাড়ি আসছে চিঠি! জানুন এবার কি করবেন
নবান্নের তরফ থেকে মঙ্গলবার একটি পোর্টাল এবং একটি whatsapp হেল্পলাইন চালু করা হয়। যে পোর্টালটি চালু করা হয়েছে সেটি হল https://রাজ্যেরআধারসমস্যার.com এবং যে whatsapp হেল্পলাইন নম্বর দেওয়া হয়েছে সেটি হল ৯০৮৮৮৮৫৫৪৪। যারা আধার বাতিল সংক্রান্ত চিঠি অথবা সমস্যায় পড়বেন তাদের এই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর অথবা ওয়েবসাইটে অভিযোগ জানাতে হবে।
তবে শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন, আধার বাতিল সংক্রান্ত এমন সমস্যায় যাতে রাজ্যের কাউকেই কোনো রকম অসুবিধাই পড়তে না হয় তার জন্য মাঠে নেমেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর থেকে শুরু করে শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদারের মত বিজেপি নেতা-মন্ত্রীরাও। তাদের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, কোনরকম যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে এর সমস্যা দ্রুত মিটে যাবে। বহু ক্ষেত্রে রাতারাতি এই সমস্যা মিটতেও দেখা গিয়েছে।