Kolkata to Agartala: খেলা দেখাবে পদ্মা সেতু! এবার কলকাতা থেকে আগরতলার ৩১ ঘন্টার রাস্তা হবে ৫ ঘন্টা

নিজস্ব প্রতিবেদন : বছর দুয়েক হয়ে গেল বাংলাদেশের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হওয়া। বাংলাদেশের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হওয়ার ফলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক থেকে শুরু করে যোগাযোগ ব্যবস্থায় এসেছে আমূল পরিবর্তন। আর এবার এই পদ্মা সেতুর দৌলতেই কলকাতা থেকে আগরতলার (Kolkata to Agartala) দূরত্ব কমে যাবে কয়েক গুণ। এবার এই পদ্মা সেতু খেল দেখানো শুরু করতেই কলকাতা থেকে আগরতলার যাত্রা সময় ৩১ ঘন্টা থেকে কমে দাঁড়াবে ৫ ঘন্টা।

বর্তমানে কলকাতা থেকে আগরতলা যাওয়ার জন্য শিয়ালদা থেকে ট্রেন চলে। যে ট্রেনটি শিয়ালদা থেকে সকাল ৬:৫০ মিনিটে রওনা দেয় এবং পরদিন সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ পৌঁছায় আগরতলা। ট্রেনটিকে গুয়াহাটি হয়ে যাতায়াত করতে হয়। এই ট্রেন হাফলং, নিউ করিমগঞ্জ, ধর্মনগর হয়ে যাতায়াত করে। স্বাভাবিকভাবেই যাত্রাপথ অনেক হওয়ার কারণে এতটা সময় লাগে যাত্রার জন্য।

কিন্তু এবার এই দীর্ঘ সময়ের অবসান ঘটতে চলেছে এবং সেই অবসান খুব তাড়াতাড়ি ঘটবে বলেও জানা যাচ্ছে। কেননা আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই কলকাতা থেকে বাংলাদেশে হয়ে আগরতলা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু হয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই পদ্মা সেতুতে যানবাহন চলাচলের পাশাপাশি ট্রেন চলাচল শুরু হয়ে গিয়েছে এবং সেই ট্রেন যাতায়াত করে ঢাকা থেকে মাওয়া হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত। আর এরই সঙ্গে যশোর পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণের কাজ চলছে দ্রুতগতিতে।

আরও পড়ুন 👉 New Ticketing System in Howrah Station: হাওড়া স্টেশনে চালু হল নতুন টিকিট বুকিং ব্যবস্থা, অনেক সুবিধা পাবেন যাত্রীরা

সূত্র মারফত যা জানা যাচ্ছে তাতে জুন মাস নাগাদই যশোর পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণের কাজ শেষ হয়ে যাবে। অন্যদিকে অক্টোবর মাস নাগাদ চালু হয়ে যাবে আগরতলা থেকে বাংলাদেশের আখাউর পর্যন্ত রেললাইন। এই রেল লাইনের উদ্বোধন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যৌথভাবে করেছেন। তখনই জানানো হয়েছিল আগরতলা থেকে ঢাকা হয়ে কলকাতা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করবে।

আর এই ট্রেন চলাচল শুরু হলেই পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টার মধ্যেই যাত্রীরা আগরতলা থেকে শিয়ালদা অথবা শিয়ালদা থেকে আগরতলা পৌঁছে যেতে পারবেন। যা জানা যাচ্ছে তাতে আগরতলা থেকে বাংলাদেশের আখাউর হয়ে ঢাকা আসতে সময় লাগবে মাত্র দু ঘন্টা। আবার ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোরের উপর দিয়ে শিয়ালদা বা কলকাতা আসতে সময় লাগবে মাত্র তিন থেকে চার ঘন্টা। নতুন এই ট্রেন চালু হলে যাত্রীদের অনেকটাই সুবিধা বেড়ে যাবে এবং এই সুবিধা পাওয়ার জন্য এখন লুকিয়ে রয়েছেন ভারতের দুই রাজ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশের বাসিন্দারাও।