Kolkata-Howrah Tunnel: কলকাতার বন্দর এলাকা থেকে হাওড়া পর্যন্ত ট্রাক চলাচলের সুবিধার্থে গঙ্গার তলা দিয়ে একটি নতুন সুড়ঙ্গপথ (Kolkata-Howrah Tunnel) নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রী গতিশক্তি প্রকল্পের অধীনে ১১ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বিদ্যাসাগর সেতুর উপর ট্রাকের চাপ অনেকটাই কমানো সম্ভব হবে। প্রায় ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সুড়ঙ্গপথটি মূলত ট্রাক চলাচলের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হবে, যা শহরের যানজট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই সুড়ঙ্গপথটি (Kolkata-Howrah Tunnel) চালু হলে শহরের যানজট সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে এবং ট্রাকগুলোকে শহরের মধ্যে ঢুকতে হবে না। মেটিয়াবুরুজ থেকে হাওড়া পর্যন্ত এই সুড়ঙ্গ নির্মিত হলে বন্দর এলাকা থেকে ট্রাকগুলো সরাসরি জাতীয় সড়কে যুক্ত হতে পারবে, ফলে শহরের রাস্তায় ভারী যানবাহনের চাপ অনেকটাই হ্রাস পাবে। ইতিমধ্যেই বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে এই প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আগামী বছর থেকেই এই মেগা প্রকল্পটির কাজ শুরু হতে পারে।
বর্তমানে বন্দর এলাকা থেকে দ্বিতীয় হুগলি সেতু ধরে জাতীয় সড়কে পৌঁছাতে গেলে ট্রাকগুলোকে দীর্ঘ সময় ধরে যানজটে আটকে থাকতে হয়। এছাড়া দিনে আট ঘণ্টা ভারী যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ থাকার পরেও যানজটের সমস্যা পুরোপুরি সমাধান করা যায়নি। এই সুড়ঙ্গপথ চালু হলে ট্রাকগুলো সরাসরি হাওড়ায় চলে যেতে পারবে, ফলে কলকাতার শহরতলির রাস্তাগুলো অনেকটাই ফাঁকা হবে এবং শহরের বাসিন্দারা যানজটের কষ্ট থেকে মুক্তি পাবেন।
আরো পড়ুন: চাপ কমাতে হবে এনজেপি’র ওপর, নতুন রেলপথ জুড়বে বাগডোগরা বিমানবন্দরকে
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর গতিশীল নেতৃত্বে দেশের সড়ক পরিবহন ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটছে। এই সুড়ঙ্গপথও সেই উন্নয়নেরই একটি বিশেষ উদাহরণ হিসেবে কাজ করবে। যানজট কমানোর পাশাপাশি এটি পশ্চিমবঙ্গের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও বিশেষ ভূমিকা রাখবে, কারণ এটি আন্তর্জাতিক ও আন্তঃরাজ্য বাণিজ্যের জন্যও অত্যন্ত উপযোগী হবে।
এই সুড়ঙ্গপথ (Kolkata-Howrah Tunnel) নির্মিত হলে কলকাতা শহরের যাতায়াত ব্যবস্থা যেমন উন্নত হবে, তেমনি এটি পুরো শহরকে এক নতুন মাত্রায় নিয়ে যাবে। শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থায় গতির সঙ্গে যুক্ত হবে আরও উন্নত পরিকাঠামো। নাগরিকদের দৈনন্দিন জীবন যেমন সহজতর হবে, তেমনি এই উদ্যোগটি দূষণ কমাতেও কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। এই প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে কলকাতা নতুন এক উচ্চতায় পৌঁছাবে, যা এই শহরের ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে এবং ভবিষ্যৎ উন্নয়নের পথকে আরও সুগম করবে।