নিজস্ব প্রতিবেদন : গত বছর গ্রীষ্মকালে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় লাগাতার লোডশেডিং লক্ষ্য করা গিয়েছিল। রাজ্যে এমন লাগাতার লোডশেডিং (Load Shedding) নিয়ে রাজ্যের বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হওয়ার পাশাপাশি বিরোধীরাও কটাক্ষ করতে ছাড়েন নি। তবে এবার রাজ্যের তরফ থেকে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, যে পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের বাসিন্দারা ভুলেই যাবেন লোডশেডিং কি জিনিস!
লোডশেডিং বা পাওয়ার কাট মূলত করা হয়ে থাকে যখন বিদ্যুতের ঘাটতি হয়। যদিও গত মরশুমে লোডশেডিংয়ের কারণ হিসাবে যে বিদ্যুতের ঘাটতি দায়ী ছিল তা রাজ্যের তরফ থেকে মানা হয়নি। বরং তাদের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছিল, রক্ষণাবেক্ষণের বিভিন্ন কাজের জন্যই এমন লোডশেডিং। তবে এবার এই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে, তার জন্য বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য। আর সেই পদক্ষেপের বিষয়টি জানলে আপনিও আনন্দে লাফাবেন।
রাজ্যের বাসিন্দাদের আরও ভালো বিদ্যুৎ পরিষেবা দেওয়ার জন্য মূলত চার থেকে পাঁচটি তাপ বিদ্যুৎ (New Power Plant in WB) গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। এর মধ্যে আবার পুরুলিয়ার সাঁওতালডিহিতে দুটি নতুন ইউনিট তৈরি করা হবে। যে দুটি ইউনিট থেকে ৮০০ করে মোট ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ তৈরি হবে। এমনই বড় দাবি করেছেন রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, সাঁওতালডিহিতে ১৮০০ একর জায়গায় এই নতুন দুটি ইউনিট তৈরি করা হবে। নতুন দুটি ইউনিট তৈরি করার জন্য সমীক্ষার কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। ভারতে এই মুহূর্তে প্রথম সারিতে থাকা যে ১০ টি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে তার মধ্যে প্রথম স্থান দখল করে রয়েছে বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে পুরুলিয়ার সাঁওতালডিহি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র।
সাঁওতালডিহি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র যাতে আরও উন্নত হয় এবং সেখান থেকে আরও যাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হয় তার জন্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ১৪০৮ কোটি টাকা খরচ করা হবে বলে জানিয়েছেন অরূপ বিশ্বাস। এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, হাসির আলো প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যেই রাজ্যের কয়েক লক্ষ মানুষকে ৭৫ ইউনিট বিদ্যুৎ বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। কয়লার যোগান কম থাকার কারণে অন্যান্য রাজ্য থেকে কয়লা আমদানি করা হচ্ছে। তবে আমাদের রাজ্যেই থাকা আরও কয়লা খনি তৈরি হলে এই অভাবও আর থাকবে না।