‘জোড়া ফুলের জোড়া মালিক ছাড়া কেউ থাকবে না’, লকেট; পাল্টা অনুব্রত

অমরনাথ দত্ত : তৃণমূলের অন্যতম প্রভাবশালী নেতা শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিত্ব এবং অন্যান্য সরকারি পদ ছেড়েছেন। শুভেন্দু অধিকারীর মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর অন্যান্য বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতাও শুভেন্দুর পাশে দাঁড়িয়ে নানান মন্তব্য করতে শুরু করেছেন। অন্যদিকে আবার তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী ইতিমধ্যেই দিল্লি গিয়ে নাম লিখিয়েছেন পদ্ম শিবিরে। এমত অবস্থায় বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় শনিবার বিস্ফোরক মন্তব্য করেন, ‘আরও বড় বড় মাথারা বেরোবেন। জোড়া ফুলে শুধু জোড়া মালিক থাকবে’। লকেট চট্টোপাধ্যায়ের এহেন মন্তব্যের পাল্টা অনুব্রত মণ্ডল জানালেন, ‘হিরো করতে চাইনা।’

ধনেখালি বিধানসভায় শনিবার স্বচ্ছ ভারত অভিযান করতে গিয়ে লকেট চট্টোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, “তৃণমূলের মধ্যে অনেক দিন আগেই দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে গেছে। বাঁকুড়াতে এগিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন ‘তৃণমূল ত্যাগী’। কিন্তু কী কারণে তিনি ত্যাগী বলেছিলেন? যেসব তৃণমূল নেতারা বলেছিলেন দলে থাকব কি থাকব না ভাবছি, তারা ওই কথা শুনেই এবার দল ত্যাগ করছেন। তৃণমূলকে ত্যাগ করছেন।”

পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, “আগামীদিনে দলের আরও সব বড় বড় মাথারা বের হবেন। জোড়া ফুলে পিসি আর ভাইপো ছাড়া আর কেউ থাকবে না। জোড়া ফুলের জোড়া মালিক ছাড়া আর কেউ থাকবে না।”

লকেট চট্টোপাধ্যায়ের এহেন মন্তব্যের পর শনিবার বিকালে বোলপুরে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল লকেট চট্টোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বলেন, “একটা বোকার মতন কথা বলেছে। এটা বোকা বোকা কথা। ওকে হিরো করতে রাজি নয় আমি। আমি বললেই হিরো হয়ে যাবে। জিরো থাকাটাই বেটার। এই কারণেই বোকা বোকা কথা।”

আর এর পরেই তিনি সিপিআইএমের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “সিপিআইএমে কি শুধু বিমান বসু আছে? আর কেউ নেই। কংগ্রেসে কি খালি প্রদীপ ভচার্য আছে? আর কেউ নেই। বোকা বোকা কথা বললে হয় না।”

এর পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডল এদিন এটাও দাবি করেন যে, “তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া গদাধর হাজরা এখন বিভিন্ন মাধ্যমের মাধ্যমে তার সাথে যোগাযোগ করছেন।”