Mukesh Ambani Birthday Day: এক কামরার ফ্ল্যাটে থাকতেন ৯ জন, বস্তিই ছিল সম্বল! কঠিন সময় গিয়েছে আম্বানিদেরও

Prosun Kanti Das

Published on:

Looking back to the struggle life of Mukesh Ambani at his birthday: বিশ্বের অন্যতম ধন কুবের মুকেশ আম্বানির নাম শোনেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। কয়েক হাজার কোটি টাকার মালিক মুকেশ আম্বানি, এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। আজ তিনি কোটিপতি ঠিকই, কিন্তু তার ছোটবেলা কেটেছে অত্যন্ত দারিদ্রতার মধ্যে। সাফল্য অর্জন করতে তাঁকে করতে হয়েছে কঠোর পরিশ্রম। তিনি তাঁর সাফল্যের জন্য প্রতিনিয়ত চর্চায় থাকা সত্ত্বেও, তিনি ভুলে যাননি তাঁর অতীতে কাটানো কঠিন সময়ের কথা। মুকেশ আম্বানির জন্মদিন (Mukesh Ambani Birthday Day) উপলক্ষে তাঁর সম্পর্কে কিছু কথা রইল আজকের প্রতিবেদনে।

মুকেশ আম্বানি জন্ম গ্রহণ করেন ১৯৫৭ সালের ১৯ শে এপ্রিল (Mukesh Ambani Birthday Day)। ৬৭ বছর বয়সে এসে আজ তিনি প্রাসাদ তুল্য এক বাড়িতে বাস করেন ঠিকই, কিন্তু তাঁর ছোটবেলা কেটেছে মুম্বাই শহরের এক বস্তিতে। মা কোকিলা বেন মুকেশ আম্বানি সহ বাকি ৭ সন্তানদের নিয়ে একটি ঘরের মধ্যেই অতি কষ্টে দিন কাটাতেন। মুকেশ আম্বানির বাবা ধীরুভাই আম্বানি রিলায়েন্স কোম্পানিকে দাঁড় করানোর জন্য রীতিমতো লড়াই করছিলেন সেইসময়।

মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani Birthday Day) ছোটবেলা কিন্তু কেটেছে কড়া শাসনের মধ্যে। ধীরুভাই আম্বানি তাঁর সন্তানদের যতটা ভালবাসা দিয়েছেন, ঠিক ততটাই শাসনও করেছেন। শোনা যায়, একবার বাড়িতে অতিথি এসেছিল আম্বানি পরিবারের। সেদিন মুকেশ আম্বানি এবং অনিল আম্বানি এতটাই দুষ্টুমি করেন যে, তাঁদের শাস্তি স্বরূপ ২ দিনের জন্য গ্যারেজে আটকে রেখেছিলেন তাঁদের বাবা ধীরুভাই আম্বানি। হঠাৎই একদিন ধীরুভাই আম্বানি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। সেই সময়টাই মুকেশ আম্বানির জন্য সবচেয়ে কঠিন সময় হয়ে দাঁড়ায়।

আরও পড়ুন 👉 Reliance Electronics Appliance: রাতের ঘুম উড়ল Samsung, LG-র! এবার কম দামে টিভি, ফ্রিজ আনছেন মুকেশ আম্বানি

১৯৮৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে হঠাৎই ধীরুভাই আম্বানির স্ট্রোক হয়। এর ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। আম্বানি পরিবার জীবনের সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয় মাত্র ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে। তখন থেকেই মুকেশ আম্বানির জীবনের লড়াই শুরু। কলেজে পড়ার সময় থেকেই রিলায়েন্স কোম্পানির কাজ শিখতে শুরু করে দেন তিনি। সকালে কলেজের পড়াশোনা ও রাতে অফিসের কাজ করে, আবার বাড়ি ফিরে সারারাত পড়াশোনা করতেন। এভাবেই জীবনের লড়াই শুরু করেন তিনি।

বাবা ধীরুভাই আম্বানিকেই নিজের জীবনের আদর্শ মনে করতেন তিনি। তাঁর আদর্শেই আজও জীবনের পথে এগিয়ে চলেছেন। বাবার তৈরি করা ব্যবসাকেই একটু একটু করে বড়ো করেছেন, পরিবারের ভরসা হয়ে উঠেছেন মুকেশ আম্বানি। মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani Birthday Day) বহু সাক্ষাৎকারে বলেছেন, জীবনে কঠিন চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোবাসেন তিনি। গুজরাটি পরিবারের সদস্য হওয়া সত্ত্বেও দক্ষিণ ভারতীয় খাবার তাঁর খুব পছন্দের।