নিজস্ব প্রতিবেদন : রামপুরহাট কাণ্ডে বুধবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপির বিধায়করা ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণে যান। যদিও ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছুটা দূরে এই ব্যারিকেড তৈরি করে বিজেপির এই প্রতিনিধি দলকে আটকে দেয় পুলিশ। তবে এখানেই তারা সরব হন এনআইএ, সিবিআই তদন্তের জন্য। এর পাশাপাশি সেন্ট্রাল ফরেনসিক দল নিয়েও ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
বুধবার সকালে কলকাতা থেকে বিজেপির এই প্রতিনিধিদল রামপুরহাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেন একটি বাসে করে। এই দলে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং সহ অন্যান্যরা। তাদের এই রামপুরহাট যাওয়াকে কেন্দ্র করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কুনাল ঘোষ কটাক্ষ করেন।
বিজেপির এই বাস শক্তি গড়ে দাঁড়ালে সেই ঘটনাকে নিয়ে তৃণমূলের তরফ থেকে কটাক্ষ করা হয়, ল্যাংচা খেতে খেতে রামপুরহাট যাচ্ছে বিজেপি। যদিও এই কটাক্ষের পাল্টা দিতে গিয়ে তাদের শুভেন্দু অধিকারী ব্লিচিং এবং ফিনাইল দিয়ে মুখ ধুয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী রামপুরহাটে পৌঁছে সেন্ট্রাল ফরেনসিক দল, এনআইএ এবং সিবিআই তদন্ত নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা দিলেন।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “স্টেট গভমেন্ট এই ঘটনার জন্য দায়ী। এদের দ্বারা নিরপেক্ষ তদন্ত হতে পারে না। তাই সিবিআই, এনআইএ, সেন্ট্রাল ফরেনসিক।” এর পরেই তিনি দাবি করেন সেন্ট্রাল ফরেনসিক অলরেডি আসছে। শুভেন্দু অধিকারীর কথা অনুযায়ী, “মহামান্য উচ্চ আদালত আজকেই দুটোর সময় ডাইরেকশন দিয়েছে। সেন্ট্রাল ফরেনসিক অলরেডি আসছে।”
এর পাশাপাশি তিনি সিবিআই এবং এনআইএ প্রসঙ্গে বলেন, “বাকি এনআইএ এবং সিবিআই। এনআইএ নিজেই আসতে পারে। তার জন্য কোর্টের অর্ডার লাগবে না। নিয়ম অনুযায়ী তারা আসতে পারে এবং নিয়ে নিতে পারে কেস। থার্ড হচ্ছে সিবিআই। আমরা আশাবাদী কালকেও আদালতে হেয়ারিং আছে। আদালত সিবিআই অর্ডার দেবে।”