নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনাকালে পরীক্ষা হয়নি উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের। বিকল্প মূল্যায়ন পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রকাশ করা হয়েছে ফলাফল। আর এই ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যজুড়ে জেলায় জেলায় পড়ুয়াদের বিক্ষোভ নজরে এসেছে। পড়ুয়া এবং তাদের অভিভাবকদের প্রশ্ন, কিভাবে পরীক্ষা না নিয়ে পড়ুয়াদের ফেল করানো হলো? আর এই লাগাতার বিক্ষোভের জেরে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভানেত্রী মহুয়া দাসকে করলেন হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, নবান্নের ডাক পেয়েই ছুটে যান মহুয়া দাস। যেখানে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয় এবং সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন খোদ শিক্ষাসচিব মনিশ জৈন। সূত্র মারফত এটাও জানা যাচ্ছে যে, শিক্ষা সচিব মনিশ জৈন প্রতিটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের জানিয়েছেন, পড়ুয়াদের কোনরকম অসন্তোষ থাকলে যেন তা জানানো হয়। অকৃতকার্য পড়ুয়াদের অভিযোগ গুরুত্ব এবং সহানুভুতির সাথে দেখা হবে।
তবে একই সাথে জেলা প্রশাসনকে নজর রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে পড়ুয়া এবং তাদের অভিভাবকদের এইসকল বিক্ষোভের কারণে যেন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোনো রকম অবনতি না ঘটে। তবে এই বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত গ্রহণ হলো তা এখনো জানা যায়নি।
অন্যদিকে যেসকল স্কুলে ইতিমধ্যেই বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে সেই সকল স্কুলের প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকাদের সাথে কথা বলেছেন সংসদ সভানেত্রী মহুয়া দাস বলে জানা যাচ্ছে। কথা বলে তাদের জানানো হয়েছে, পড়ুয়াদের অভিযোগ যথাযথ ভাবে জানতে হবে এবং পুনরায় সেগুলি খতিয়ে দেখা হবে। কোথাও কোনো রকম ত্রুটি থাকলে তা সংশোধন করে দেওয়া হবে এমনটাই জানানো হয়েছে বলে খবর সংসদ সূত্রে।
বৃহস্পতিবার ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর শুক্রবার থেকেই বিভিন্ন জেলায় স্কুলে স্কুলে পড়ুয়া এবং অভিভাবকদের এই বিক্ষোভ শুরু হয়। শুক্রবারের পর শনিবারও একাধিক জেলায় বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে। আর এই লাগাতার বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে এবার নড়েচড়ে বসলো নবান্ন। এখন দেখার বিষয় আগামী দিনে কি সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সংসদ।