নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রতিদিন দেশের প্রায় এক কোটি মানুষ রেল পরিষেবার উপর ভর করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করেন। বিপুল সংখ্যক এই যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে ভারতীয় রেলও (Indian Railways) রেল পরিষেবাকে প্রতিনিয়ত সাজিয়ে গুছিয়ে তোলার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। রেলের প্রচেষ্টায় ইতিমধ্যেই ভারতের রেল ট্র্যাকে দৌড়াচ্ছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, তেজস এক্সপ্রেস, অমৃত ভারত এক্সপ্রেস সহ বিভিন্ন ধরনের ট্রেন।
ভারতীয় রেলের তরফ থেকে এখনো পর্যন্ত যে সকল ট্রেন চালু করা হয়েছে তার অধিকাংশ ট্রেনই পেয়ে গেছে বাংলা। বাংলার মাটি থেকে দৌঁড়াচ্ছে ৫-৫টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, দেশের দুটি অমৃত ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের মধ্যে একটি দৌড়াচ্ছে বাংলা থেকে, আর এবার তেজস এক্সপ্রেসে (Tejas Express) চড়ার সুযোগও করে দেওয়া হল বাঙ্গালীদের।
ভারতীয় রেলের তরফ থেকে এবার আগরতলা থেকে আনন্দবিহার টার্মিনাল পর্যন্ত সাপ্তাহিক একটি তেজস এক্সপ্রেস চালু করা হয়েছে। যে ট্রেনটি পশ্চিমবঙ্গের নিউ জলপাইগুড়ি এবং মালদা টাউন স্টেশনে স্টপেজ দেবে। এই ট্রেনটির সূচনার ফলে উত্তরবঙ্গের যাত্রীদের এবার সরাসরি নতুন দিল্লি পৌঁছানোর রাস্তা অনেক কমে যাবে। উত্তরবঙ্গের অধিকাংশ জেলার মানুষেরা এই ট্রেনের সুবিধা পাবেন।
উত্তরবঙ্গের বাসিন্দাদের আগে দিল্লি যাওয়ার জন্য কলকাতা অথবা বিহারের কাটিহার হয়ে ঘুরে যেতে হতো। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘুরপথে এমন পথ পাড়ি দিতে প্রায় ৩৩ ঘন্টা সময় লাগে যাত্রীদের। কিন্তু এবার সরাসরি এই ট্রেনের মাধ্যমে মাত্র ১৯ ঘণ্টায় পৌঁছে যাওয়া যাবে দিল্লি। তবে এই ট্রেনটি সপ্তাহে একদিন যাতায়াত করবে। ২০৫০১ তেজস এক্সপ্রেস মালদা টাউন রেল স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে মঙ্গলবার বৈকাল ৩:১০ মিনিটে এবং ট্রেনটি আনন্দবিহার টার্মিনাল পৌঁছাবে পরদিন সকাল ১০:৫০ মিনিটে। অন্যদিকে আনন্দবিহার টার্মিনাল থেকে এই ট্রেনটি ছাড়বে প্রতি শুক্রবার।
নতুন এই তেজস এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে মোট ২০টি খোঁজ রাখা হয়েছে। প্রথম শ্রেণী, দ্বিতীয় শ্রেণি এবং তৃতীয় শ্রেণীর কোচ রয়েছে। মালদা টাউন থেকে আনন্দ বিহার টার্মিনাল পর্যন্ত তৃতীয় শ্রেণীর ভাড়া হলো ৩০৪৫ টাকা, দ্বিতীয় শ্রেণীর ভাড়া ৪১৮০ টাকা এবং প্রথম শ্রেণীর ভাড়া ৫২১৫ টাকা। এই ট্রেনটি যাত্রীদের সমস্ত রকম উন্নত থেকে উন্নততর পরিষেবা দিয়ে থাকে।