নিজস্ব প্রতিবেদন : বর্তমানে দেশের সবচেয়ে দ্রুতগতির ট্রেন হল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express)। ইতিমধ্যেই দ্রুতগতির এই ট্রেনটি দেশের বিভিন্ন রুটে চালাচ্ছে ভারতীয় রেল (Indian Railways)। এই ট্রেন দ্রুতগতির হওয়ার পাশাপাশি এটি একটি প্রিমিয়াম ট্রেন এবং এর ভাড়া অন্যান্য ট্রেনের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে সফর করার জন্য যাত্রীদের বিপুল টাকা খরচ করতে হয় তা প্রত্যেকেরই জানা। তবে এই ট্রেন প্রস্রাব করতে উঠে এক ব্যক্তিকে ৬০০০ টাকা খরচ করতে হলো। বিষয়টি আজব এবং অবিশ্বাস্য মনে হলেও কিন্তু এমনই ঘটনা ঘটে গেছে একটি রুটে। এমন আজব ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর চারদিকে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। শোরগোল পড়ে যাওয়ার পাশাপাশি কৌতূহল জাগছে কোন রুটে এমন ঘটনা ঘটলো আর কার সঙ্গে ঘটলো!
জানা গিয়েছে, নজিরবিহীন এমন ঘটনাটি ঘটেছে হায়দ্রাবাদের এক বাসিন্দার ক্ষেত্রে। হায়দ্রাবাদের ওই বাসিন্দা হলেন আব্দুল কাদির। ভোপাল স্টেশন থেকে ইন্দোরগামী বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের তার সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটে। এই ঘটনা কিভাবে ঘটলো? জানা যাচ্ছে, হায়দ্রাবাদের বাসিন্দা আব্দুল কাদির তার স্ত্রী এবং আট বছরের পুত্র সন্তানকে নিয়ে হায়দ্রাবাদ থেকে ভোপাল যান। ঘটনাটি ঘটে ১৫ জুলাই। ঐদিন তাদের ভোপাল থেকে রাত ৮:৫৫ মিনিটে সিংরাউলিগামী দক্ষিণ এক্সপ্রেস ধরার কথা ছিল।
রাত ৮:৫৫ মিনিটের ওই ট্রেন ধরার জন্য পরিবার নিয়ে আব্দুল কাদির বিকাল ৫:২০ মিনিটেই ভোপাল পৌঁছে যান। এরই মধ্যে ভোপাল স্টেশনে দাঁড়িয়েছিল ইন্দোরগামী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। ওই ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকার সময় হঠাৎ আব্দুল কাদিরের প্রস্রাব পায়। তখন তিনি স্টেশনের টয়লেটে না গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা বন্দে ভারতটিতে উঠে পড়েন প্রস্রাব করার জন্য। ইতিমধ্যে তিনি যখন প্রস্রাব করে বেরিয়ে আসেন তখন দেখতে পান ট্রেনের দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছে আর ট্রেনটি চলতে শুরু করেছে।
এদিকে আব্দুল কাদিরের স্ত্রী এবং ছেলে ভোপাল স্টেশনে দাঁড়িয়ে থেকে যান। এমন অবস্থায় আব্দুল কাদির বারবার ট্রেনের টিকিট কালেক্টর থেকে শুরু করে পুলিশ কর্মীদের ট্রেন থামানোর জন্য আবেদন জানালেও তা সম্ভব হয়নি। ট্রেনের কর্মী এবং পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়, ট্রেনের দরজা খুলতে পারবেন একমাত্র চালক। চালকের কাছে আবেদন জানানোর জন্য আব্দুল কাদির যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে যেতে দেওয়া হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে আব্দুল কাদেরকে নামতে হয় পরবর্তী স্টেশন উজ্জয়নিতে।
বিনা টিকিটে বন্দে ভারতে চলার জন্য আব্দুল কাদিরের জরিমানা লাগে ১০২০ টাকা, উজ্জয়িনী থেকে ভোপাল বাসে ফিরে আসতে খরচ হয় ৭৫০ টাকা। অন্যদিকে আব্দুল কাদিরকে না পেয়ে ট্রেনে ওঠেননি আব্দুল কাদিরের স্ত্রী এবং সন্তান। সেই ট্রেনের টিকিট সহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে জলে যায় ৪০০০ টাকার বেশি। সব মিলিয়ে খরচ হয় প্রায় ৬ হাজার টাকা।