Kolkata Metro: রাজ্যসভায় তথ্য অনুসারে, গত তিন আর্থিক বছরে কলকাতা মেট্রো (Kolkata Metro) রেলওয়ের ১,৩৭৬.৭২ কোটি টাকার ক্রমবর্ধমান ক্ষতি হয়েছে। মেট্রোর ব্লু লাইনের আর্থিক পারফরম্যান্স সম্পর্কে বিজেপি সাংসদ সমিক ভট্টাচার্যের উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ক্ষতির বিস্তারিত জানিয়েছেন।
বছর অনুসারে লোকসান:
২০২১-২২ সালে ৪৮৭.৩৭ কোটি টাকা
২০২২-২৩ সালে ৪২৪.২৪ কোটি টাকা
২০২৩-২৪ সালে ৪৬৫.১১ কোটি টাকা
মন্ত্রী বৈষ্ণব স্পষ্ট করেছেন যে, কলকাতা মেট্রো (Kolkata Metro) লাইন-বাই-লাইন ভিত্তিতে আয় এবং ব্যয়ের রেকর্ড বজায় রাখে না। ফলে ব্লু লাইনের জন্য নির্দিষ্ট আর্থিক তথ্য উপলব্ধ ছিল না। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে, কলকাতা মেট্রো ১৯৭২ সালে তার সূচনা থেকে ৬৬ কিলোমিটার অপারেশনাল লাইন তৈরি করেছে, একটি অতিরিক্ত ৫৯ কিলোমিটার মেট্রো করিডোর নির্মাণাধীন রয়েছে। একবার এই লাইনগুলি ব্লু লাইনের সাথে সংযুক্ত সম্পন্ন হলে, তারা উল্লেখযোগ্যভাবে রাইডারশিপ বাড়াবে এবং মেট্রো সিস্টেমের আর্থিক কার্যকারিতাকে সম্ভাব্যভাবে উন্নত করবে বলে আশা করা হচ্ছে৷
নিউ গড়িয়া থেকে রুবি এবং জোকা থেকে মাঝেরহাটের যে মেট্রো স্টেশন রয়েছে, সেখৃন থেকে ইতিমধ্যে বুকিং কাউন্টার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত পেশ করা হয়েছে। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর বেঙ্গল কেমিক্যাল স্টেশন থেকেও বুকিং কাউন্টার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত শোনা যাচ্ছে। যাত্রী সংখ্যা কম হওয়ার অজুহাত দেখিয়ে মেট্রো স্টেশন গুলিতে কাউন্টার কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তার ফলে কর্মহীন হয়ে পড়ছেন বহু মানুষ।
আরও পড়ুন:Indian Railways: আটকে গেছে চারটি নতুন প্রকল্প, রাজ্য সরকার দিয়েছে মাত্র ২১%
আসলে শিয়ালদা থেকে সেক্টর ফাইভে যাওয়ার জন্য বেঙ্গল কেমিক্যাল মেট্রো স্টেশনে যাত্রী সংখ্যা খুবই কম। যার ফলে রেল কর্তৃপক্ষের মধ্যে এই মেট্রো স্টেশনে মেসিন রাখলে তার মাধ্যমেই গুটিকয়েক যাত্রী তাদের স্মার্ট কার্ড বা টোকেন সংগ্রহ করতে সক্ষম হবে। শুধু তাই নয় এর কয়েকদিন আগে পার্পেল এবং অরেঞ্জ লাইনে এরকম তিনটি স্টেশন কাউন্টার বিহীন করার সিদ্ধান্ত পেশ করা হয়েছিল। তার সাথে সাথে ঠাকুরপুকুর এবং বেহালা বাজারের মেট্রো স্টেশনে কাউন্টার একেবারেই বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে শোনা গেছে।
কলকাতা মেট্রো (Kolkata Metro) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল পাইলট প্রকল্প অনুযায়ী তিনটি স্টেশনকে কাউন্টার বিহীন করে যাওয়ার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল। সেগুলি – পার্পল সখেরবাজার মেট্রো স্টেশন, লাইনের তারাতলা এবং এবং অরেঞ্জ লাইনের কবি সুকান্ত স্টেশন। সখেরবাজারে মেট্রোর যাত্রী সংখ্যা ৫৫ জন, কবি সুকান্ততে ২২০ জন এবং তারাতলাতে দৈনিক প্রায় ৭০ জন যাতায়াত করে। তাই এখানে কোন মনুষ্য চালিত বুকিং কাউন্টার না রেখে শুধুমাত্র মেশিন বসিয়ে দিলে অটোমেটিক স্মার্ট কার্ড, রিচার্জ, টোকেন সংগ্রহ করা সম্ভব হবে। আর এই মেশিনে দৌরাত্ম্যে কাজ হারাচ্ছে বহু মানুষ।