দু’বছর হয়ে গেল রাজেশের চলে যাওয়া, শহীদকে শ্রদ্ধা

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : আজ থেকে ঠিক এক বছর আগে বীরভূমের মহঃবাজার ব্লকের অন্তর্গত বেলগড়িয়া গ্রামটিকে সেই ভাবে কেউ চিনত না। কিন্তু রাতারাতি এই গ্রাম রাজ্য তথা দেশের সামনে উঠে আসে কেবলমাত্র রাজেশ ওরাংয়ের কারণে। সেই রাজেশ ওরাং যিনি চীনের লাল ফৌজের বিরুদ্ধে বীরত্ব দেখিয়েছিলেন। থমকে দিয়েছিলেন চীনের আগ্রাসন।

Advertisements

২০২০ সালের ১৫ জুন, গালওয়ান উপত্যকা উত্তপ্ত হয় চীনের আগ্রাসনের কারণে। ঐদিন অতর্কিতে ভারত ভূখণ্ডে হামলা চালায় চীন সেনারা। তবে সেই হামলা প্রতিহত করে ভারতের বীর জওয়ানরা। ভারতীয় সেনারা চীনের এই আগ্রাসনকে রুখে দিলেও সেদিনের সেই ঘটনায় শহীদ হতে হয় ২০ জন ভারতীয় সেনাকে। যাদের মধ্যে একজন হলেন রাজেশ ওরাং।

Advertisements

গালওয়ান উপত্যকায় সেদিনের সেই লড়াই চলাকালীন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন রাজেশ। এর পরেই শুরু হয় তার চিকিৎসা। তবে হাজার চেষ্টা করেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ২০২০ সালের ১৬ জুন শহীদ হন রাজেশ ওরাং। দুদিন পর তার নিথর দেহ আসে গ্রামে। সেখানেই তাকে সমাধিস্থ করা হয়।

Advertisements

রাজেশের শহীদ হওয়ার পর থেকেই ক্ষোভে ফেটে উঠেছিলেন পরিবারের সদস্যরা থেকে শুরু করে জেলা, রাজ্য, দেশ। সবার মুখেই ছিল একটি কথা, ‘বদলা চাই’। যদিও সেই পরিস্থিতি এখনো পর্যন্ত এই ঘটনা নিয়ে চীনের সঙ্গে ভারতের নরম-গরম পরিস্থিতি চলছে। তবে শহীদ রাজেশ ওরাং এর নিথর দেহ গ্রামে ফিরে আসার পর তাকে গ্রামের একটি জায়গায় সমাধিস্থ করা হয়।

আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাজেশ ওরাং এর দ্বিতীয় শহীদ বার্ষিকী। এদিন তাকে শ্রদ্ধা জানাতে তার সমাধিস্থলে পৌঁছান এনসিসির আধিকারিকরা। এর পাশাপাশি শ্রদ্ধা জানানো হয় আত্মীয়স্বজন এবং গ্রামের বাসিন্দাদের তরফ থেকে। তাকে শ্রদ্ধা ও সম্মান জানানোর পাশাপাশি দেশের হয়ে প্রাণ বিসর্জন দেওয়ার জন্য পরিবারের সদস্যরা গর্বিত।

Advertisements